আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডিসেম্বর পড়লেই অপেক্ষা থাকে উৎসবের মেজাজের, বড় দিনের, ক্রিসমাসের আর চুপুচুপি আসা সান্তা ক্লজের। সে আসে চুপুচুপি, রেখে যায় উপহার। এই গল্প জেনে বড় হয়েছে কত খুদে। তারপর যখন জানতে পারে, আদতে বাস্তবে সান্তা বলে কেউ নেই? কেউ কেউ জেনেও মানতেই চায় না। অনেকে আবার হতাশ হয়।
সান্তা ক্লজ বলে বাস্তবে কেউ নেই! একথা শুনে স্কুলেই কেঁদে ভাসাল খুদে। ঘটনাস্থল হ্যাম্পশায়ার। সেখানকার এক প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। স্কুলের কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল, আর তো কদিন পরেই ক্রিসমাস। তার আগেই একবার ক্রিসমাসের গল্প শোনানো যাক পড়ুয়াদের। সেই উদ্দেশ্যে স্থানীয় চার্চের ধর্মগুরুকে ডেকেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ফলাফল যা হল, তাতে ভেস্তেই গেল গল্প শোনা।
কী ঘটেছিল? ক্রিসমাসের গল্প বলার সময়, ধর্মগুরু ১০-১১ বছরের পড়ুয়াদের বলেন, আসলে বাস্তবে সান্তা বলে কেউ নেই। সঙ্গে এও বলেন যে উপহারগুলি তারা পায় বড়দিনে, সেগুলি আসলে দেন তাদের বাবা-মায়েরা। ব্যাস! আর রক্ষে নেই। এতদিনের বিশ্বাস, সান্তার জন্য অপেক্ষা, সান্তার উপহার সব ভুল? ভেবেই হুলুস্থুল। কেউ কেউ বলে, সান্তা কুকিজ পছন্দ করে, তারা দিয়েছে, সান্তা সেসব খেয়েও গিয়েছে। ধর্মগুরু বাস্তব বোঝান তখনও। প্রশ্ন করেন, বাবা-মায়েরা কুকিজ পছন্দ করেন কি না? উত্তর হ্যাঁ আসতেই, বুঝিয়ে বলেন, আদতে বাবা-মায়েরাই খেয়েছেন সেসব কুকিজ। আর নয়, এতদিনের সমস্ত বিশ্বাস ভাঙতেই স্কুলেই কেঁদে ভাসাল খুদে।
উৎসবের মেজাজটাই নষ্ট করে দিয়েছেন ধর্মগুরু বাস্তব বোঝাতে গিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বহু অভিভাবক। চেষ্টা চালাচ্ছেন শিশুদের মনে উৎসবের মেজাজ ফিরিয়ে আনার। ধর্মগুরু নিজেও স্বীকার করেছেন, বাস্তব বোঝাতে গিয়ে, বিশ্বাস না ভাঙলেই ভাল হত।
