আজকাল ওয়েবডেস্ক: সীমান্তে পাক মদতে গড়ে উঠেছে জঙ্গিঘাঁটি। বরাবরই এমন দাবি করেছে ভারত। সেই দাবিকে নস্য়াৎ করতে মরিয়া শেহবাজ শরীর সরকার। পড়শি দেশের নির্লজ্জভাবে দাবি, ভারত যেসব স্থানকে সন্ত্রাসবাদীদের শিবির হিসেবে চিহ্নিত করেছে সেগুলো আসলে লোকালয়, সাধারণ পাকিস্তানিদের বসতি। এ জন্য অবশ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিদর্শন করলেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ। সেদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকই এই সফরের আয়োজন করেছিল। 

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, পাকিস্তানি মন্ত্রী ভারতের সন্ত্রাসবাদী শিবিরের অভিযোগকে "ভিত্তিহীন" বলে অভিহিত করেছেন। এবং দাবি করেছেন যে, পাকিস্তান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সামনে সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল। 

মন্ত্রী মন্ত্রী আতাউল্লাহ পাকিস্তানকে "দায়িত্বশীল রাষ্ট্র" বলে দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, যে ইসলামাবাদ আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বলেছেন, "আমরা আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বারবার প্রমাণ করেছি যে আমরা শান্তির সমর্থক।" তিনি আরও বলেন যে, পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যেকোনও স্তর পর্যন্ত যেতে পারে।  

উল্লেখযোগ্যভাবে, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন, এমনকি পরমাণু যুদ্ধেরও ইঙ্গিত করেছেন।

গত ২২শে এপ্রিল পাহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্করের শাখা, দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে, ভারত জঙ্গিদের পৃথিবীর শেষ প্রান্তে গিয়ে খুঁজে বের করা ও তাদের শাস্তি বিধানের সংকল্প নিয়েছে। টিআরএফ দায় অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও সোমবার ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়ার কতা রয়েছে। এই বৈঠকটি ভারতের জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে মুখোশ খুলে দেওয়ার সুযোগ বলে বিবেচিত।