আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই গ্রিনল্যান্ড কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘স্বশাসিত’ দ্বীপের উপর ইউরোপীয় দেশ ডেনমার্কের অধিকার আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। উত্তর মেরুর অন্তর্গত ওই দ্বীপের দাম চোকাতে কত ডলার খরচ হবে আমেরিকার?

২০১৯ সালে প্রথম বার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্পকে গ্রিনল্যান্ড কেনার কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। এর আগে ১৯১৭ সালে ডেনমার্কের থেকে ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ কিনেছিল ওয়াশিংটন। ১৮০৩ সালে একই ভাবে ফ্রান্সের থেকে লুসিয়ানা ক্রয় করে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পই প্রথম নয়, ১৯৪৬ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান একবার গ্রিনল্যান্ড কিনে নিতে চেয়েছিলেন। সেইসময় তিনি এর দাম রেখেছিলেন মার্কিন ডলারের হিসাবে ১০০ মিলিয়ন সোনার দাম। বর্তমানে যার আনুমানিক মূল্য ১.৩ বিলিয়ন ডলারের সমান। ১৮৬৭ সালে রাশিয়ার থেকে আলাস্কা কিনে নেয় আমেরিকা। এর জন্য সেই সময়ে ওয়াশিংটনের খরচ হয়েছিল ৭২ লক্ষ ডলার। বর্তমানে তার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৩৫ লক্ষ ডলার। গ্রিনল্যান্ড আয়তনে আলাস্কার চেয়ে অনেকটা অনেকটাই বড়। তাই এই দ্বীপকে কিনতে অনেকটাই বেশি খরচ করতে হতে পারে আমেরিকাকে। নিউ ইয়র্ক ফেডেরাল রিজার্ভের প্রাক্তন অর্থনীতিবিদ ডেভিড বার্কারের মতে, গ্রিনল্যান্ড কিনতে সাড়ে ১২ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭৭ বিলিয়ন ডলারের মতো খরচ হতে পারে। এর আগে আন্দাজ করা হয়েছিল গ্রিনল্যান্ডের দাম ২৩০ মিলিয়ন থেকে শুরু করে ১.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে। অনেকে আবার মনে করছেন এর দাম ১.৫ ট্রিলিয়নের দিকেও যেতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন গ্রিনল্যান্ডে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। সেগুলির দিকে নজর পড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তাই তিনি এমন একটি পরিকল্পনা করেছেন। এখানকার মাটিতে যে কপার, ধাতু, কোবাল্ট রয়েছে তা আগামীদিনে আমেরিকার সম্পত্তি হতে পারে বলেই ট্রাম্প এমন একটি ইচ্ছা জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যদি গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকা নিজেদের সীমানার মধ্যে নিয়ে আসতে পারে তাহলে তারা ভৌগলিকভাবে রাশিয়া এবং চিনের থেকে অনেকটা এগিয়ে যাবে। ফলে বিশ্বের এই দুই শক্তিধর দেশের উপর নজর রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে আমেরিকার। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে বসতে পারেন ট্রাম্প। তারপরেও তাঁর গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছে থাকে কি না সেটাই দেখার।