আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে এখন রয়েছেন এক ভারতীয়। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। বর্তমানে তিনি প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছেন। ধরা যেতে পারে শুভাংশু বর্তমানে আপনার মাথার ওপরেই রয়েছেন।


এই প্রথম কোনও ভারতীয় আইএসএস-এ রয়েছেন। এটি আগামী দুদিনের জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হতে চলেছে। ভারতীয়দের মাথার ওপরেই ঘুরছেন শুভাংশু শুক্লা। তাকে খোলা চোখেই আপনি দেখতে পারবেন।


আইএসএস তৈরি করেছে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান এবং কানাডা। এটিকে দেখতে অনেকটা ফুটবলের মতো। এটি পৃথিবীর ওপর ঘন্টায় ৪০০ কিলোমিটার বেগে ঘুরছে। ফলে এর গতি মহাকাশে রয়েছে ২৮ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এটি পৃথিবীকে সারাদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করছে। ফলে এর ভিতরে থাকা মহাকাশচারীরা প্রতি ২৪ ঘন্টায় ১৬ টি সূর্যোদয় দেখতে পারছেন।


তবে এই গতিতে চলার পরও আপনি একে খালি চোখে দেখতে পারবেন। এটি ঠিক আপনি দেখতে পারবেন ঠিক তেমনভাবেই যেমন আপনি পৃথিবী থেকে চাঁদকে দেখা যায়। একে দেখতে হলে সূর্য ওঠার আগে বা সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে আপনি দেখতে পারেন। ফলে সেই সময় আপনি একে আকাশে উজ্জ্বল একটি নক্ষত্রের মতোই দেখতে পারবেন। তার কারণ সেই সময় এর ওপর সূর্যের আলো বিকিরণ করবে।


একে টাকা খালি চোখেই আপনি দেখতে পারবেন। এর উজ্জ্বল রং আপনি নিজের কাছের মানুষদেরও দেখাতে পারবেন। এখানে ভৌগলিক দিক থেকে দেখতে হলে আপনি কেরালা এবং দক্ষিণ ভারত থেকে বেশি করে এই যানটিকে দেখতে পারবেন। সেখানে টানা ৫ মিনিট ধরেই আপনি একে দেখতে পারবেন।


একে দেখতে হলে আপনার কোনও দূরবীনের দরকার হবে না। পরিষ্কার আকাশে আপনি অতি সহজেই একে দেখতে পারবেন। শুধু সঠিক সময় হলেই আপনি একে দেখতে পারবেন। তবে যত উঁচু গাছ বা বাড়ির ওপরে যাবেন ততই আরও ভালভাবে দেখতে পারবেন।

আরও পড়ুনভারতে লাবুবু কিনতে কত টাকা খরচ করতে হবে, আজই নিয়ে যেতে পারেন এই পুতুলকে

 


মহাকাশে যারা পাড়ি দেন তাদের সকলের স্পেস ইনস্যুরেন্স বা বিমা করানো থাকে। শুক্লা বিশ্বের দরবারে ভারতকে সামনে নিয়ে এসেছেন। তাই বিমা তৈরি করা হয়েছে একেবারে আলাদাভাবে। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে তার ২০০ কোটি টাকার বিমা করানো রয়েছে।


অন্যদিকে নাসার পক্ষ থেকেও একটি বিমা করানা হয়েছে। সেখানে টাকার পরিমান ৬০ মিলিয়র ডলার। ফলে সেখানে টাকার পরিমান হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এই মিশনের খরচ, প্রশিক্ষণ ছাড়া অন্য আরও বিষয় রয়েছে।


এবার প্রশ্ন উঠতে পারে মহাকাশে বিমা কেন এত টাকার হয়ে থাকে। সেখানে যে নিয়ম রয়েছে তাতে বলা হয়েছে মহাকাশে যাওয়ার পর মানুষের জীবনের ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে। ফলে সেখানে যে বিমাটি করানো হয় তার দাম সবথেকে বেশি। সেখানে পলিসি থাকে ৪০ কোটি টাকার এবং ব্যক্তির জীবনের দাম ধরা হয় ১৬০ কোটি টাকা। ফলে এই বিমার দাম সবথেকে বেশি হয়ে থাকে। 


এই বিমাতে থাকে মৃত্যু বা গুরুতর চোট। এটি মিশন শুরু হওয়া থেকে শুরু করে মিশন শেষ পর্যন্ত হতে পারে। ফলে সেখান থেকে মহাকাশচারীর কাছে এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে উঠে আসে।


যদি মিশন বাতিল হয়ে যায় তাহলে সেখানে বিমার কাছে সেটি বিরাট দায় থাকে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ চলার সময় অনেক চোট লাগতে পারে। সেটিও মাথায় রাখা হয়। 


মহাকাশযানের ভিতরে যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে তার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে মহাকাশচারীর ওপর। ফলে তার দায় থাকতে পারে বিমার দিকে। সমস্ত ধরণের দুর্ঘটনার এখানে বিমা করানো থাকে।