আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৮৫৯ সাল চার্লস ডারউইন বলেছিলেন পৃথিবীতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটে। তবে সেটি এতটা ধীরে হয় যে সহজে তা বোঝা যায় না। তবে এই পরিবর্তন পৃথিবীর প্রকৃতির ওপর বিরাট প্রভাব ফেলতে থাকে। সেদিক থেকে দেখতে হলে এই পরিবর্তনকে সঙ্গে নিয়েই সকলকে চলতে হয়।
তার এই কথা বহু যুগ ধরে মানুষ মেনেছে। এবার তার এই কথা ফের একবার সকলের সামনে চলে এল। স্প্যানিশ ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পৃথিবীতে সবথেকে বেশি পরিবর্তন ঘটছে মাটির নিচে। এই তালিকায় সবথেকে এগিয়ে রয়েছে কেঁচো।
আজ থেকে ১০০ বছর আগে কেঁচোর যে চরিত্র সামনে আসত সেখান থেকে তারা এখন অনেকটা পরিবর্তনের দিকে চলেছে। সেখান থেকে দেখতে হলে এখন যে গবেষণা সামনে এসেছে তাতে কেঁচোর ডিএনএ পরিবর্তন ঘটছে। সেখানে নানা ধরণের অন্যকিছু দেখা গিয়েছে। নতুন যে পরিবর্তন এসেছে তার ফলে মাটির নিচে বেশিদূর তারা যেতে পারছে না। ফলে মাটির ওপরেই তারা থাকছে। এরফলে মাটির উর্বরতা কমছে দ্রুত হারে।
কেঁচোর ডিএনএ পরিবর্তন করার ধারণাটি জিন প্রকৌশল বা জেনেটিকালি মডিফাইড কেঁচো তৈরির সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া, যেখানে কেঁচোর ডিএনএ-র মধ্যে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আনার জন্য পরিবর্তন করা হয়। তবে, এই ধরনের পরিবর্তনগুলি বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং এর নৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাবগুলি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ: কিছু গবেষণায়, কেঁচোর ডিএনএ-তে পরিবর্তন এনে তাদের দূষিত মাটি পরিষ্কার করার ক্ষমতা বাড়ানো যায় কিনা, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
রোগ প্রতিরোধ: কেঁচোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ডিএনএ পরিবর্তন করা যেতে পারে।
খাদ্য উৎপাদন: কিছু ক্ষেত্রে, কেঁচোর প্রোটিন উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাদের ডিএনএ পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে।
জিন এডিটিং: CRISPR-Cas9 এর মতো জিন এডিটিং সরঞ্জাম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট জিন পরিবর্তন করা যায়।
ভেক্টর-মধ্যস্থ জিন ট্রান্সফার: একটি বাহক (যেমন ভাইরাস) ব্যবহার করে কেঁচোর কোষে নতুন জিন প্রবেশ করানো যায়।
নৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব: কেঁচোর ডিএনএ পরিবর্তনের ফলে পরিবেশ এবং অন্যান্য জীবের উপর কী প্রভাব পড়বে, তা বিবেচনা করা দরকার।
