আজকাল ওয়েবডেস্ক:  গরমকালে তীব্র দাবদাহে হৃদরোগীদের নানা সমস্যা দেখা দেয়। যাঁদের পরিবারের হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের জন্য এই সময়টা ভয়ঙ্কর পর্যন্ত হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, গরমকালে সুস্থ থাকলে হার্টের রোগীদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। নাহলে ডিহাইড্রেশন এবং আরও নানা কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং আরও নানা অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময় শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের তীব্র গরমের আবহাওয়ায় বেশি কাজ করা একেবারেই সঠিক নয়। এমনকি ছাদে কিংবা ব্যালকনিতেও যাওয়া উচিত নয়। গরমের সময়ে বাড়ির ভিতরে থাকলেই সুস্থ থাকবেন তাঁরা।


গরমকালে হৃদরোগীদের অবশ্যই কফিজাতীয় পানীয় এবং মদ্যপান থেকে দূরে থাকা দরকার। এই দুই পানীয়ই তাঁদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে। এই সময়ে হালকা রঙের পোশাক পরা দরকার। তাতে শরীর তুলনায় অনেকটাই ঠান্ডা থাকে।


নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করা দরকার। যদি রক্তচাপ বাড়ে বা কমে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

 শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। যাঁদের পরিবারে হার্ট অ্যাটাক বা হার্টফেলের ঘটনা রয়েছে, তাঁরা সবসময় চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকুন। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার।


ডিহাইড্রেশনের অর্থ হল দেহ থেকে প্রচুর পরিমানে জল বেরিয়ে যাওয়া। সেখানে রোদ থেকে আসার পর শুধু জল খেলেই হবে না। দেহে ঘামের সঙ্গে দরকারি নুন বেরিয়ে যায়। ফলে সেখানে জলের সঙ্গে দরকার একটু চিনি বা নুন। আরও ভাল হতে পারে যদি এই সময় রোদ থেকে এসে লেবুর জল পান করা যায়। এটি সহজে দেহে জলের অভাবের পাশাপাশি নুনের ঘাটতি মিটিয়ে দিতে পারে। দেহে জলের অভাব বোধ হলে তাড়াতাড়ি তাকে মিটিয়ে নিতে হবে। নাহলে সেখান থেকে সরাসরি চাপ পড়বে হার্টে। সেখান থেকে হার্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।