আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুল্ক হুমকি থেকে কিছুতেই বিরত থাকছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ব্রিকস সম্মেলন চলার মাঝেই রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট  জানান, ব্রিকসের "আমেরিকা-বিরোধী নীতি"-র সঙ্গে নিজেদের সামিল করা দেশগুলির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

বুধবার জানান, তাড়াতাড়ি আরও সাত দেশের কাছে যাবে অতিরিক্ত করের আনুষ্ঠানিক পত্র।তার মাঝেই জানা গিয়েছে তামার উপর ৫০ এবং ওষুধের উপর ২০০ শতাংশ কর প্রয়োগ করতে চলেছেন তিনি। তা শুরু হতে চলেছে আগস্টের এক তারিখ থেকেই।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ভারত। কেন এবং কীভাবে?-

২০২৪-২৫ সালে ভারত বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তামা এবং তামাজাত পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে, মার্কিন বাজারে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৬০ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ মোট রপ্তানির ১৭ শতাংশ। বাণিজ্য তথ্য অনুসারে, সৌদি আরব (২৬ শতাংশ) এবং চীন (১৮ শতাংশ) এর পরে আমেরিকা ভারতের তামা রপ্তানির তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। নতুন শুল্কের পরে মার্কিন চাহিদা হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। 

আরও পড়ুন: আরও সাত দেশকে শুল্ক-নোটিশ পাঠাচ্ছে মার্কিন মুলুক, এবার কি চিঠি পাবে ভারতও? দেখে নিন তালিকা

অন্যদিকে, ভারতে তৈরি একটা বড় অংশের ওষুধের রপ্তানি বাজার মার্কিন মুলুক। গত অর্থ বর্ষের হিসেবের তথ্যও, ভারত থেকে রপ্তানি করা ওষুধের ৪০ শতাংশ গিয়েছে ট্রাম্পের দেশে। ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে চাহিদা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে পারে, বিশেষ করে যেহেতু ভারতের জেনেরিক শিল্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের। ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন সেকথা। এখন সেই চুক্তি কখন বাস্তবায়িত হবে, ১ আগস্টের আগে না পরে, তার উপর নির্ভর করছে বেশকিছু বিষয়।