চুল ভাল রাখতে শুধু নামী-দামি শ্যাম্পু বা তেল ব্যবহার করলেই হয় না, খাবার থেকেই আসে চুলের আসল পুষ্টি। বিশেষ করে কিছু খাবার যদি ঠিকভাবে একসঙ্গে খাওয়া যায়, তাহলে শরীর সেগুলোর পুষ্টিগুণ অনেক ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে। এতে রক্ত চলাচল ভাল হয়, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে, মাথার ত্বক পুষ্ট হয় এবং এর প্রভাব সরাসরি পড়ে চুলে। এমনই কয়েকটি খাবারের জুটি দেওয়া হল, যেগুলো নিয়মিত খেলে চুলের স্বাস্থ্যে বদল নজরে আসবে।
2
10
কারিপাতা ও ঘোলঃ কারিপাতায় থাকে আয়রন এবং ঘোলে থাকে ভাল ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক। এই দুইটি একসঙ্গে খেলে শরীর আয়রন ভালভাবে শোষণ করতে পারে। এটি চুলের রং ধরে রাখতে সহায়ক এবং অকালপক্বতা ধীরে আসতে পারে।
3
10
পালং শাক ও লেবুঃ পালং শাকে আয়রন থাকে, কিন্তু শরীর একা একা তা ভালভাবে গ্রহণ করতে পারে না। লেবুর ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছয়, যা পুষ্টির অভাবে হওয়া চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
4
10
বিট ও চিয়া সিডঃ বিট রক্ত চলাচল ভাল করে, আর চিয়া সিডে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই জুটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল ঘন হতে সাহায্য করে।
5
10
কলা ও ফ্ল্যাক্স সিডঃ কলা থেকে পটাশিয়াম আর ফ্ল্যাক্স সিড থেকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়। এগুলো মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মরশুমি চুল পড়ার সময় এই জুটি খুব উপকারী।
6
10
গাজরের রস ও আখরোটঃ গাজরে ভিটামিন এ থাকে, যা চুলের গোড়া সুস্থ রাখে। আখরোটে আছে বায়োটিন ও ওমেগা-৩। এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে চুল ভিতর থেকে পুষ্ট হয় এবং ধীরে ধীরে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
7
10
ডাবের জল ও কুমড়োর বীজঃ ডাবের জল শরীর ও মাথার ত্বক হাইড্রেট রাখে। কুমড়োর বীজে থাকা জিঙ্ক চুলের গোড়া শক্ত করে। এই জুটি মিনারেলের অভাবে চুল পাতলা হওয়া কমাতে সাহায্য করে।
8
10
মেথি ও দইঃ ভাল হজম হলে শরীর খাবারের পুষ্টি ঠিকমতো নিতে পারে। মেথি ও দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, যার ফলে খুশকি ও মাথার চুলকানি কমতে পারে।
9
10
খেজুর ও ঘিঃ খেজুর শরীরে এনার্জি জোগায় আর ঘি মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই জুটি শুষ্ক, রুক্ষ ও দুর্বল চুলের জন্য খুব ভাল।
10
10
খাবার চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে ঠিকই, কিন্তু ফল পেতে সময় লাগে। তাই এই সব খাবার নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি জীবনযাপন, স্ট্রেস, ঘুম, হরমোন এবং জেনেটিক কারণও চুলের উপর প্রভাব ফেলে। তাই ভাল ফল পেতে চুলের সঠিক যত্ন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন একসঙ্গে জরুরি।