আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের মুখ থুবড়ে পড়ল বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হওয়া বহু ওষুধ। দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) জানিয়েছে, ৮৪টিরও বেশি ব্যাচের ওষুধ ‘নট অব স্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ (এনএসকিউ) বা যথেষ্ট গুণমানের মাপকাঠি উতরোতে পারেনি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তৈরি করা ওই ওষুধগুলির মধ্যে অ্যাসিডিটি, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস এবং ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনের ওষুধও রয়েছে। 

প্রতি মাসেই এই ধরনের ওষুধের গুণমান পরীক্ষা হয়। সিডিএসসিও আধিকারিকেরা প্রতি মাসে আচমকা, কোনও আগাম নির্দেশিকা ছাড়াই বাজারচলতি ওষুধ পরীক্ষা করে দেখেন। এর আগেও এমন ‘সারপ্রাইজ় টেস্টে’ ব্যর্থ হয়েছিল বহু ওষুধ। গত আগস্ট মাসে ৫০টিরও বেশি ওষুধ গুণমানের মাপকাঠি উতরোতে পারেনি। 

সিডিএসসিওকর্মকর্তাদের মতে, এই মান পরীক্ষা শুধুমাত্র কয়েকটি ব্যাচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সম্পূর্ণ পণ্যের ক্ষেত্রে নয়। বাজার থেকে নিম্ন গুণমানসম্মত এবং নকল ওষুধ অপসারণের জন্য রাজ্য নিয়ন্ত্রকদের সহযোগিতায় নিয়মিত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মান পরীক্ষায় ব্যর্থ ওষুধ জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে তারা যে ওষুধ খাচ্ছেন তা আসল কি না। চিকিৎসক মহলের বক্তব্য, এ ধরনের ওষুধ খেলে রোগী সুস্থ হবে না, দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলবে, রোগীর চিকিৎসার খরচের বোঝা ক্রমেই ভারী হবে।