আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিতর্কে নতুন মোড়। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব দাবি করেছেন যে, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা বিজয় কুমার সিনহার দু'টি ভোটার কার্ড রয়েছে। নির্বাচন কমিশন প্রতিটি যোগ্য ভোটারকে একটি নাম, ছবি-সহ একটি ভোটার কার্ড দেয়। একজন ভোটারের কেবল একটিই এপিক নম্বর থাকে।
তেজস্বীর অভিযোগের পাল্টা মুখ খুলেছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই একটি নির্বাচনী এলাকার ভোার তালিকা থেকে নিজের নাম অপসারণের অনুরোধ করেছেন। প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিনহা ভুয়ো অভিযোগ করার অভিযোগ তুলেছেন।
রবিবার সকালে এক সংবাদির বৈঠকে তেজস্বী যাদব দাবি করেছেন যে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহার দু'টি এপিক নম্বর রয়েছে। "এই সংখ্যা দুটি পৃথক বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে, এবং এই কার্ডগুলিতে তাঁর বয়সও আলাদা। একটি এপিক নম্বর বাঁকিপুর কেন্দ্রে, সেখানে তাঁর বয়স ৬০ বছর। আরেকটি এপিক নম্বর লক্ষীসরাইতে। এই কার্ডে তাঁর বয়স ৫৭ বছর। সুতরাং, হয় তিনি এই দুটি এপিক নম্বর ইস্যু করার জন্য নথিতে স্বাক্ষর করেছেন, অথবা বিহারের পুরো বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়াটিই একটি জালিয়াতি।"
है मोदी जी के खासमखास बिहार के उपमुख्यमंत्री श्री विजय सिन्हा
— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi)
???? ये दो अलग-अलग जिलों की दो अलग-अलग विधानसभा क्षेत्रों के दो अलग-अलग जगह के मतदाता हैं। लखीसराय जिले के लखीसराय विधानसभा क्षेत्र से और पटना जिले की बांकीपुर, विधानसभा निर्वाचन क्षेत्र से।
???? इनके पास दो दो अलग-अलग… pic.twitter.com/E38JXb9nzOTweet by @yadavtejashwi
বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন একটি বিশাল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিরোধী আরজেডি এবং কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে- এই প্রক্রিয়ার ফলে ভোটারদের ব্যাপকহারে বাতিল করা হচ্ছে। নির্বাচনী সংস্থা এই অভিযোগগুলি উড়িয়ে দিয়েছে। এই বিতর্কের মধ্যে, নির্বাচন কমিশন তেজস্বী যাদবের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে, অভিযোগ করেছে যে- তিনি একটি "ভুয়ো" এপিক কার্ড ব্যবহার করেছেন।
তেজস্বী উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, "জনগণের জানা উচিত কে জালিয়াতি করছে। লক্ষীসরাই বিধানসভার এপিক নম্বর IAF3939337 এবং বাঁকিপুর বিধানসভার এপিক নম্বর AFS0853341। জানুয়ারির তালিকায়, বাঁকিপুরের নাম তাঁর হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছিল। যখন বিএলও লক্ষীসরাইতে যেতেন, তখন তিনি স্বাক্ষর করতেন। এবং যখন বিএলও বাঁকিপুরে যেতেন, তখন তিনি সেখানেও স্বাক্ষর করতেন। সেই কারণেই উভয় জায়গা থেকে পৃথক ভোটার তালিকায় তাঁর নাম এসেছে।" আরজেডি নেতা বলেন, "হয় বিহারে নির্বাচন কমিশনের এসআইআর অনুশীলন একটি জালিয়াতি, অথবা বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা জালিয়াতি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা উচিত।"
তেজস্বী যাদব অভিযোগ করার পরপরই সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা। তিনি দাবি করেন যে, তাঁর পরিবার আগে বাঁকিপুর বিধানসভা এলাকায় বাস করত। বলেন, "আমি ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করেছি। আমি লক্ষীসরাই ভোটার তালিকায় আমার নাম যুক্ত করেছি।" দাবি করেন, উভয় তালিকায় তাঁর নাম থাকার পর তিনি বাঁকিপুর তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করেছেন।
আরজেডি শাসনকালকে "জঙ্গলরাজ" বলে অভিহিত করে বিজয় কুমার সিনহা বলেন, "জঙ্গলরাজের রাজপুত্র জালিয়াতি করেন। আমরা এই ধরনের কাজ করি না। দুর্ভাগ্যবশত, সাংবিধানিক পদে থাকা কেউ সঠিক জ্ঞান ছাড়াই রাজনীতিকে কলঙ্কিত করছেন।"
#WATCH | Patna, Bihar: On RJD leader Tejashwi Yadav's allegations against him, Bihar's Deputy Chief Minister Vijay Kumar Sinha says, "Earlier, my entire family's name was listed in Patna. In April 2024, I applied to add my name to the Lakhisarai Assembly. I also filled out a form… https://t.co/RTXpks8GG5 pic.twitter.com/CENx9Q56fF
— ANI (@ANI)Tweet by @ANI
এর আগে, তেজস্বী তাঁর বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়ালের অভিযোগ করেছিলেন এবং প্রশ্ন করেছিলেন যে নির্বাচন কমিশন কি বিজয় কুমার সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? তাঁর প্রস্ন ছিল, "যদি আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে কি উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে?" তিনি বলেন, "বিজেপি গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে শেষ করে দিচ্ছে। যেখানে বিজেপি এটি করতে পারে না, সেখানে নির্বাচন কমিশনকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে যোগ করা ভোটাররা কি ভুয়ো? যদি তারা ভুয়া হয়, তাহলে তাদের দ্বারা নির্বাচিত সরকারও ভুয়ো।"
এর আগে তেজস্বী যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে, ১ অগাস্ট প্রকাশিত নতুন খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। পরে তিনি বলেছিলেন যে, তাঁর এপিক নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে।
পাটনার নির্বাচনী নিবন্ধন কর্মকর্তা তাঁকে তদন্তের জন্য উল্লেখ করা এপিক কার্ডের বিবরণ শেয়ার করতে বলেছেন। "০২.০৮.২০২৫ তারিখে সংবাদ সম্মেলনে আপনার দ্বারা উল্লেখিত এপিক কার্ডের বিবরণ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত, আপনার স্তর থেকে প্রয়োজনীয় নথি এবং এপিক কার্ডের একটি অনুলিপি সরবরাহ করা হয়নি। অতএব, আবারও অনুরোধ করা হচ্ছে যে ০৮.০৮.২০২৫ তারিখের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কাছে বিশদ বিবরণ সরবরাহ করা উচিত যাতে এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা যায়।"
