আজকাল ওয়েবডেস্ক:  একজনকে হত্যা করে পুড়িয়ে দেওয়া হল দেহ। কিন্তু এসবের কারণ জানলে চমকে উঠবেন আপনিও। তিনি এটা করলেন শুধুমাত্র ইন্সিওরেন্স নেওয়ার জন্য। মর্মান্তিক ঘটনাটি গুজরাটের রাজকোটের। মৃত ওই যুবকের নাম সন্দীপ গোস্বামী।

 

 

তদন্তে উঠে এসেছে, ৪৬ বছর বয়সী এই যুবক তাঁর আরেক যুবককে হত্যার পরিকল্পনা করেন। শুক্রবার রাজকোট জেলার গোন্ডালে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, দেহটি ঘরে পড়েছিল অর্ধদগ্ধ অবস্থায়। তার কাছেই বসবাস করতেন হিতেশ ধাঞ্জা। যে বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় সেই বাড়িতে তিনি একা থাকতেন। তাঁরা দুই ভাই ছিলেন। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর বড় ভাই হাসমুখের একটি মানিব্যাগ আর ফোন।  

 

 

হিতেশ ছুটে এসে গ্রামের প্রধানকে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা জানান। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে উঠে আসে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেননি, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁর দেহটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

 

পুলিশ এরপর হাসমুখের খোঁজে নামে। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলেনি। এরপর ফোন করা হয় গায়ত্রীকে। ইনি সম্পর্কে সন্দীপ গোস্বামীর স্ত্রী। তিনি জানান, তাঁর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে। এরপর উঠে আসে ভয়ঙ্কর তথ্য। তাঁকে মৃতদেহ দেখালে জানানো হয়, এই মৃতদেহটি হাসমুখের নয়, সন্দীপের। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয় এলাকার লোককে। জানা যায়, এক নাবালকের সঙ্গে শেষ দেখা গিয়েছিল দুজনকে। খুঁজে বের করা হয় তাঁকে। সে জানায়, সন্দীপকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর সেই দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নাবালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তল্লাশি শুরু হয়েছে হাসমতের খোঁজে।