আজকাল ওয়েবডেস্ক: সবাইকে নাকি দুটো করে লাড্ডু দেওয়া হয়েছিল, তাঁর বেলাতেই একটা। দুটো চেয়েছিলেন, তাও পাননি। ব্যাস। হাতের কাছে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ফোন নম্বর। ক্ষুব্ধ ব্যক্তি সোজা ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী হেল্প লাইন নম্বরে। ব্যক্তির কাণ্ডে রীতিমতো হইচই।
ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্যে রাজ্যে থাকে হেল্প লাইন নম্বর। সেখানে ফোন করে বহু মানুষই নিজেদের মতামত জানান। কেউ কেউ জানান নানা অভাব-অভিযোগ। নিজের অভিযোগ জানাতেই মধ্যপ্রদেশের ভিন্দের ওই ব্যক্তি ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন নম্বরে। কিন্তু কী বলছেন ফোন করে?
যা বলেছেন, তা প্রকাশ্যে আসতেই বিপুল শরগোল। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন নম্বরে জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে যা ঘটেছে, তাতে বেশ ক্ষুব্ধ তিনি। প্রশ্ন করেছেন, কেন তাঁর সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটেছে? কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানের পর, সকলের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করা হচ্ছিল। শুরুর দিকে সব ঠিক ছিল। কিন্তু আচমকা ব্যক্তি যা আবিষ্কার করলেন, তাঁতেই মাথা গরম। ক্ষুব্ধ ব্যক্তি আচমকা আবিষ্কার করেন, সকলকে দুটো করে লাড্ডু দেওয়া হলেও, তাঁকে কেবল একটি লাড্ডুই দেওয়া হয়। তিনি দুটো লাড্ডু চেয়েছিলেন, কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে নাকি তা দেওয়া হয়নি।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম কমলেশ খুশওয়াহার। তিনি ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পঞ্চায়েত ভবনের বাইরে বেরিয়েই সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন নম্বরে। ওই পঞ্চায়েতের সচিবের নাম রবীন্দ্র শ্রীবাস্তব। তিনি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, এক ব্যক্তি পতাক্কা উত্তোলনের পর সকলের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করছিলেন। কিছুক্ষণ পরে। কমলেশকে সত্যি একটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছিল। তিনি দুটো মিষ্টি চাইলেও, তা দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগও নিশ্চিত করেছেন পঞ্চায়েত সচিব।
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফোন চলে গিয়েছে! ভেবেই তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামেন খোদ সচিব। জানা গিয়েছে, কমলেশকে শান্ত করতে তিনি তৎক্ষণাৎ সাথণিয় দোকান থেকে এক কেজি লাড্ডু কিনে কমলেশের হাতে তুলে দেন। এরা আগেও, ওই জেলার এক গ্রামবাসী মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে শিরোণামে উঠেছিলেন। ২০২০ সালের ঘটনা। জানা যায়, ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে ত্রুটিপূর্ণ হ্যান্ড পাম্প নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছিল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল (পিএইচই) বিভাগের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী পিআর গোয়েল ওই ব্যক্তির অভিযোগের জবাবে দিয়েছিলেন। তাতে কী লিখেছিলেন? সূত্রের খবর, অভিযোগের জবাবে জানা গিয়েছিল, 'অভিযোগকারী মানসিকভাবে অসুস্থ, তার মৃগীরোগের সমস্যা রয়েছে। তার পুরো পরিবারের মৃগীরোগ রয়েছে।' হ্যান্ড পাম্পটি ত্রুটিপূর্ণ নয় বলেও জানান তিনি। সঙ্গেই জানানো হয়েছিল, সমগ্র পিএইচই বিভাগ জানে, ওই ব্যক্তি এক কর্মীর পোশাক ছিঁড়েছে।
