আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিদের নির্ধারিত সময়তেই এসে হাজির হয়েছে লা নিনা। ৯ জানুয়ারি থেকেই নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছে লা নিনা। এর প্রভাব গোটা প্রশান্ত মহাসাগর বা তার সংলগ্ন এলাকা জুড়ে পড়েছে। আবহবিদরা যেমন জানিয়েছিল এল নিনার হাত ধরে ছুটে আসবে লা নিনা ঠিক সেটাই হয়েছে। এরফলে গোটা বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তন ঘটেছে।
সমুদ্রের জল অতিরিক্ত গরম হয়েছে। সেখান থেকে বাতাস এসে প্রবেশ করেছে স্থলভাগে। এবারের শীত হবে দীর্ঘস্থায়ী এমনটাই জানিয়েছিল আবহবিদরা। সেটাই এবার হতে চলেছে। নিজের সঠিক সময়তেই এসে হাজির হয়েছে লা নিনা। এবার তার কাজ করার পালা। তীব্র শীতল হাওয়ার সঙ্গে এবার ঝুঝতে হবে গোটা পৃথিবীকে। ফলে সেদিক থেকে দেখতে হলে এবার শীত থাকবে অনেকদিন।
২০২৪ সালে নিজের খেলা দেখিয়েছে এল নিনো। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পরিমান বেড়েছে। যে হারে এবারে বৃষ্টি হয়েছে সেদিক থেকে দেখতে হবে এল নিনো তার কাজ শেষ করেছে। আর এবার লা নিনার পালা। সমুদ্র থেকে তীব্র বেগে হাওয়ার ফলে শীত এবার অনেক বেশিদিন থাকবে। গোটা পৃথিবীর প্রতিটি অংশেই এর প্রভাব পড়বে।
একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে এবারে শীত অনেক বেশি থাকবে। তার প্রভাব লা নিনা হলেও তার সঙ্গে বিশ্ব উষ্ণায়ন অনেক বেশি জড়িয়ে রয়েছে। যেভাবে দুই মেরুতে বরফ গলতে শুরু করেছে সেদিক থেকে দেখতে হলে লা নিনা সেখান থেকে প্রভাবিত হয়েছে। শুধু তাই নয় এল নিনো সেখান থেকই তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যত বেশি হয়েছে তত পরিবেশের উপর তার প্রভাব পড়েছে। সেদিক থেকে দেখতে হলে আপরা দেখেছি ভারতের মতো দেশে এল নিনোর প্রভাবে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এত বৃষ্টি এর আগে দেখেনি ভারত। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রতি বছর ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে সেখান থেকে লা নিনা এবার শীতকে অনেক বেশি ধরে রাখবে।
তবে আবহবিদদের আরেকটি অংশ মনে করছে লা নিনা সঠিক সময়ে চলে এলেও তার প্রভাব খুব একটা হবে না। সমুদ্র থেকে গরম বাতাস যখন শীতের শেষে বইতে শুরু করবে তখন শীত বেশিদিন স্থায়ী হবে না। তবে এই সব কথাই মূলত অনুমানের উপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে।
