আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিরাপত্তারক্ষী হয়েও আইন ভাঙলেন খোদ এক পুলিশ আধিকারিক। দ্রুতগতিতে বাইক চালানোর অভিযোগে এক ছাত্রকে আটক করেছিলেন তিনি। কিন্তু আটক করার পরে আইন মেনে চলার বদলে তিনি ঘটালেন তার উল্টোটা। ফলস্বরূপ পুলিশের পোশাকে চরম বর্বরতা ফুটে উঠল। ছাত্রকে মারধর এবং গালিগালাজ করতে দেখা গেল এক সাব-ইনস্পেক্টরকে। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন।

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, কানপুরে। পুলিশের দাবি, নারামাউয়ের বাসিন্দা এবং ছাত্র অক্ষয় প্রতাপ সিং তাঁর বন্ধু, শিবরাজপুরের অভিষেক দুবের সঙ্গে কিদোয়াই নগর ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় গোশালা ক্রসিং পুলিশ পোস্টের ইনচার্জ সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) অমিত বিক্রম ত্রিপাঠী তাঁকে বাইক থামাতে বলেন। কিন্তু অক্ষয় বাইক না থামিয়ে আরও গতি বাড়িয়ে দেন। এরপর পুলিশ তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে।

 

মূল সমস্যার শুরু সেখান থেকেই। অভিযোগ, অক্ষয়কে ধরে আনার পর ত্রিপাঠী তাঁকে কলার ধরে টেনে নিয়ে যান পুলিশ আউটপোস্টের ভিতরে। ছাত্রটি প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে৷ এমন আচরণ আইনবিরুদ্ধ - একথা বলতেই ঘটে বিস্ফোরণ। ওই পুলিশ আধিকারিক রাগে ফেটে পড়ে তাঁকে মারতে শুরু করেন। কিল-চড় তো বটেই, তার সঙ্গে চলে অকথ্য গালিগালাজ। ছেলেটি কাঁদতে কাঁদতে বলে, "আমি বলেছিলাম, সরি স্যার। কিন্তু উনি থামেননি। বারবার মারছিলেন, গালিগালাজ করছিলেন।"

আরও পড়ুন: ঘর থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার! 'অস্বাভাবিক যৌন চাহিদা'র অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬১- এর প্রৌঢ়, জানাজানি হতেই হুলুস্থুল 

 

এই সমগ্র ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত অক্ষয়ের বন্ধু অভিষেক দুবে। তাঁর মোবাইল ক্যামেরাতেই ধরা পড়ে পুলিশের বর্বরতা। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই প্রশাসনের শীর্ষ মহল তৎপর হয়।

 

ঘটনার পর সোমবার এক বিবৃতিতে সার্কেল অফিসার (বাবুপুরওয়া) দিলীপ সিং জানিয়েছেন, "দক্ষিণ জেলার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) দীপেন্দ্র নাথ চৌধুরী বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে ত্রিপাঠীকে রিজার্ভ পুলিশ লাইনে পাঠিয়েছেন।"

আরও পড়ুন: ছবি তোলাই লক্ষ্য! রোগীকে বিস্কুট দিয়েই ফের কেড়ে নিলেন বিজেপি নেত্রী, ভিডিও ঘিরে তুমুল বিতর্ক

 

তিনি আরও যোগ করেন, "আমার উপরেই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিসিপি সাহেবকে পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি তথ্য-ভিত্তিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।"

 

ঘটনার সময় উপস্থিত এক কনস্টেবল অবশ্য মারধর থামানোর চেষ্টা করেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই নৃশংস ঘটনার জেরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। যে দেশের পুলিশকর্মী সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তার বদলে খোদ আইন হাতে তুলে নেয়, তবে কোথায় যাবে বিচার? প্রশাসনের পদক্ষেপ এখন দেখার।