আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার ঝাঁসির কোতোয়ালি থেকে উদ্ধার হয় সোনালী বুধোলিয়া নামের এক গৃহবধুর দেহ। তাঁর বাবা-মাকে ফোন করে জানানো হয় মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা এবং আত্মহত্যার কথা। প্রাথমিকভাবে দেহ উদ্ধারের পর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু সোনালীর চার বছর শিশুকন্যা যা বলল পুলিশকে, তাতে ঘুরে গিয়েছে গোটা ঘটনার মোড়।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুলিশের হাতে এখন সোনালীর চার বছরের শিশুকন্যার আঁকা ছবি। ওই ছবিতেই সে তুলে ধরেছে তার বাবা অর্থাৎ সোনালীর স্বামীর ভয়াবহ অত্যাচারের কাহিনি। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েও পড়েছে খুদের আঁকা একটি ছবি।
কী জানিয়েছে সে? সূত্রের খবর, ওই খুদে পুলিশকে জানিয়েছে, তার মা আত্মহত্যা করেনি। গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে তার বাবা। অর্থাৎ সোনালীর স্বামী। ওই ব্যক্তি প্রায়শই সোনালীর উপর অত্যাচার করত, মেয়ে বাধা দিলেও শুনত না বলে অভিযোগ।
শিশুকন্যা জানাচ্ছে, পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ সন্দীপ ঘটনার দিনে ঠিক কী ঘটিয়েছিল। ঘটনার দিনে সন্দীপ প্রথমে সোনালীর মাথায় ভারী পাথর দিয়ে আঘাত করে, পরে দেহ ঝুলিয়ে দেয়। তার নিজের মেয়েই এই অভিযোগ করেছে বলে খবর সূত্রের। নিজের আঁকার খাতায় ছবি এঁকেছে খুদে। পুলিশ সোনালীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, সোনালীর বাবা-মাও মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলেছেন আগেই। সোনালীর বাবা সঞ্জীব ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ২০১৯-এ মেয়ের বিয়ে দেন তিনি। নগদ ২০ লক্ষ টাকা পণ দেন। কিন্তু তারপরেও মেয়ের উপর বারবার অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। কন্যাসন্তান জন্মের পর অত্যাচারের পরিমাণ আরও বেড়ে যায় বলেও অভিযোগ তাঁর।
