আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১.৪৬ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৪৬ কোটিতে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যার ফলে ভারচ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়ে উঠবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিষয়ক দফতর ইউএনএফপি-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে এই কথা বলা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে এই সংখ্যা ১৭০ কোটিতে পৌঁছাবে এবং তারপর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের মোট প্রজনন হার (টিএফআর) এখন প্রতি মহিলা ১.৯ জন্মে নেমে এসেছে। যা ২.১-এর নীচে। এর অর্থ হল ভারতীয় মহিলারা প্রয়োজনের তুলনায় কম সন্তান জন্ম দিচ্ছেন।
ইউএনএফপি-র দ্য রিয়াল ফার্টিলিটি ক্রাইসিস রিপোর্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, বিশ্বের উর্বরতার হার হ্রাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয় বরং মানুষকে তাঁদের ব্যক্তিগত পারিবারিক লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছিল, বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছতে সময় লেগেছে ১২ বছর। কিন্তু ৮০০ থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছতে সময় লাগবে সাড়ে ১৪ বছর। কারণ, গোটা বিশ্বেই জন্মহার কমেছে।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের মোট জনসংখ্যায় ০-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৪ শতাংশ, ১০-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৭ শতাংশ এবং ১০-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৬ শতাংশ। দেশের ৬৮ শতাংশ জনগণ কর্মক্ষম (১৫-৬৪ বছর বয়সী)। ৭ শতাংশ জনসংখ্যার বয়স ৬৫ বছরের বেশি। ২০২৫ সালে ভারতের পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ বছর এবং মহিলাদের ৭৪ বছর।
১৯৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪৩৬ মিলিয়ন এবং গড়ে একজন মহিলার প্রায় ছ’টি সন্তান ছিল। তখন বেশিরভাগ মহিলারই তাদের শরীরের উপর খুব কম নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং খুব কম সংখ্যক মহিলাই গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতেন বা স্কুলে যেতেন। এখন, ভারতীয় নারীদের গড়ে প্রায় দু’টি সন্তান হয়। যা গত কয়েক দশকের তুলনায় অনেক কম।
