আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেক ইন ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উন্নত করতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত সরকার। এবার ফ্রান্সের সঙ্গে ভারত একটি চুক্তি করছে। সেখান থেকে ভারত এবার পরবর্তী প্রজন্মের উন্নত ফাইটার জেট বিমানের ইঞ্জিন কিনবে। এরফলে ভারতের নিজের প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হবে ফ্রান্সের প্রযুক্তি।


বর্তমানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সমস্ত রয়েছে বিদেশী ইঞ্জিন। সেই কারণে মাঝে মাঝেই যদি সেখানে মেরামতি করার দরকার হয় তাহলে সেখানে নানা ধরণের সমস্যায় পড়তে হয়। সেখান থেকে এবার বেরিয়ে আসতে চাইছে ভারত। তাই এবার সেখান থেকে এবার ২৫০ টি ইঞ্জিন নিয়ে আসার কথা ভাবছে ভারত।


এই চুক্তির জেরে ভারত প্রায় ৬১ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে বলেই খবর মিলেছে। এই ইঞ্জিনগুলি সবই যুদ্ধ বিমানের বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে জরুরি আলোচনা সেরেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি দেশের তিন সেনার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।


ভারতের ১১৪টি বহুমুখী যুদ্ধবিমানের জরুরি অনুসন্ধান ও পঞ্চম প্রজন্মের উন্নয়ন কর্মসূচির আকাঙ্ক্ষা আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার-এর (জেএসএফ) একটি আশ্চর্যজনক প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্য দিকে রাশিয়া এই বছরের মধ্যেই হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড-এর (এইচএএল বা হ্যাল) সঙ্গে মিলে তাদের এস-৫৭ ই ফেলন উৎপাদনে ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবগুলি মূলধারা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা ব্যাপক বিতর্ক ও জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। আমেরিকা ভারতে সামরিক বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য শুল্ক আরোপের সুযোগ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রস্তাবটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে দু’টি প্রশ্ন সামনে উঠে এসেছে: এই প্ল্যাটফর্মটি কি ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) কার্যকরী প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে, যার ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত ফাইটার স্কোয়াড্রন বেঞ্চ ক্ষমতা বিদ্যমান? এই চুক্তি কি ভারতের ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার জন্য কৌশলগত ভাবে অর্থবহ?


একটি যুদ্ধবিমানের বিশ্লেষণ আসলে প্রচারিত হচ্ছে এমন সহজ সংখ্যাতাত্ত্বিক তুলনার চাইতেও অনেক জটিল। এফ-৩৫ একটি সমস্যাপূর্ণ ক্ষেত্র, যা পরীক্ষার নির্দেশিকা ও মিশন প্রস্তুতির লক্ষ্য পূরণের চেষ্টার ক্ষেত্রে গুরুতর নির্ভরযোগ্যতা, প্রাপ্যতা ও রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।

আরও পড়ুন:  মঙ্গলের পাথর ঝড় তুলল পৃথিবীতে, অবাক হয়ে দেখল বিশ্ববাসী

 

 ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষে প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিসকাল ইয়ার ২০২৪ অ্যানুয়াল অপারেশনাল টেস্ট অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট’ অনুসারে কিছু মূল বিষয় হল, এর স্টিলথ বৈশিষ্ট্যগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন ও তা সম্পূর্ণ রূপে পরীক্ষা করা হয়নি এবং এর লজিস্টিক সমস্যাটিও এত দীর্ঘ যে, তা স্থাপন করাও কঠিন। ব্যয় বৃদ্ধি আর একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ প্রায় ৩,০০০ এফ-৩৫ তৈরি ও কেনার জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমান করা হয়েছিল, যা আজ ২,৪৫৬টি প্ল্যাটফর্মের বহরের জন্য দ্বিগুণ হয়ে ৪১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। জেএসএফ-কে ‘ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের ট্রেনরেক’ বলা হয়েছে যা ‘মার্কিন বিমান বাহিনীর কোষাগার প্রায় শূন্য’ করে দিয়েছে। এই প্রকল্পটি ইলন মাস্কেরও নজরে এসেছে, যিনি সরকারি ব্যয়ে আর্থিক কর্তনের জন্য মার্কিন সরকারের দক্ষতা বিভাগের আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব প্রদান করেন।