আজকাল ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীতে মঙ্গলের পাথর তৈরি করল নতুন ইতিহাস। এই পাথরটির ওজন প্রায় ২৪.৫ কেজি। এটি মঙ্গলের পাথর যেটি পৃথিবীতে পাওয়া গিয়েছিল। এটি যখন নীলাম হল তখন এর দাম হল ৫.৩ মিলিয়ন ডলার। সতবেতে এই নীলাম ছিল সকলের নজরে। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই এই পাথরটি নীলাম হয়ে যায়। যারা এটিকে কিনতে এসেছিলেন তারা এর রূপ দেখে একেবারে মোহিত হয়ে যান। ফলে সেখান থেকে তারা আর বেশি কথা বলেলনি। এদিন এই পাথরের দাম শুরু হয়েছিল ২ মিলিয়ন ডলার থেকে।


সাহারা মরুভূমি থেকে ২০২৩ সালে এই পাথরটি পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে এটিকে নিয়ে গবেষকরা অনেক পরীক্ষা করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন প্রায় ৫ মিলিয়ন বছর আগে একটি বিরাট গ্রহাণু মঙ্গল গ্রহকে ধাক্কা দিয়েছিল। এরপর সেখান থেকে বহু অংশ টুকরো টুকরো হয়ে মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। তারই একটি অংশ চলে আসে পৃথিবীতে। এখানকার বায়ুমন্ডলে খানিকটা ধ্বংস হওয়ার পর বাকি অংশটি সাহারা মরুভূমিকে এসে পড়ে। পৃথিবীতে এটিই ছিল মঙ্গলের সবথেকে বড় পাথরের টুকরো।


লাল গ্রহকে চিনতে গবেষণা থেমে নেই। অনেক নতুন নতুন তথ্যও হাতে আসছে বিজ্ঞানীদের। মঙ্গলের বুকে ঘুরে বেড়ানো রোভাররা তথ্য পাঠাচ্ছে নাসার বিজ্ঞানীদের জন্য। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিও মঙ্গলগ্রহ সম্বন্ধে নানা তথ্য তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।


এরমধ্যেই ভারতের একদল বিজ্ঞানী তাক লাগিয়ে দিলেন। রাউরকেলার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি-র বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও চিনের বিজ্ঞানীদের নিয়ে তৈরি একটি দল মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল।


যেখানে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয় মঙ্গলের ধুলো ও আইস ওয়াটারের চরিত্রের ওপর। ভারতীয় গবেষকেরাই এই খোঁজের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা মঙ্গলের ধুলো ও আইস ওয়াটারের ধরণ ও পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেন।


গত ২০ বছরে মঙ্গলের ধুলো ও আইস ওয়াটারের ধরণ নিয়ে তাঁরা গবেষণা চালান। আর তার ওপর ভিত্তি করে তাঁরা মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া নিয়ে যে গবেষণালব্ধ তথ্য হাতে পেয়েছেন তা অবশ্যই মঙ্গলগ্রহকে আরও ভাল করে চিনতে কাজে লাগবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।


আগামী দিনে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। যাবে অনেক মহাকাশযানও। সেই সঙ্গে সেই আদি অনন্ত প্রশ্ন তো রয়েছেই, মঙ্গলে একসময় জীবন ছিল, নাকি ছিলনা!


আগামী দিনে মহাকাশচারীদেরও পা রাখার কথা মঙ্গলে। এসব কিছুর জন্য মঙ্গলের আবহাওয়াকে খুব ভাল করে জানা প্রয়োজন। সে বিষয়েই নতুন তথ্য বিশ্ব মহাকাশ বিজ্ঞানের হাতে তুলে দিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: এসবিআই মানেই সুখের চাবিকাঠি, বিনিয়োগ করলেই তৈরি হবে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ


টেসলা কর্তা ইলন মাস্কও মঙ্গল গ্রহকে নিয়ে বিরাট উৎসাহী। তার মতে আগামীদিনে মঙ্গল গ্রহ হতে পারে সকলের থাকার পরবর্তী ঠিকানা। সেখানে তিনি ইতিমধ্যেই মঙ্গলে বাড়ি তৈরি করা নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তার দাবি তার করা রকেট অতি সহজেই পৃথিবীবাসীকে মঙ্গলে নিয়ে যেতে পারবে। সেখান থেকে তারা সকলে সুরক্ষিত থাকবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাই মঙ্গল নিয়ে সকলের আগ্রহ এখন তুঙ্গে। কবে মঙ্গল অভিযান শুরু হবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলেই।