আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাধারণ মাথায় এই অঙ্ক মেলানো কঠিন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দাবি, বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ অঙ্ক জটিল হলেও শেষপর্যন্ত উত্তর সঠিক! মধ্যপ্রদেশে জেল ও বন দফতরের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পূর্ণমান ছিল ১০০। সেই পরীক্ষায় যিনি প্রথম হয়েছেন তিনি পেয়েছেন ১০১.৬৬ নম্বর। তাহলে কী কোথাও গড়মিল রয়েছে? জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ইন্দোরে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু, কর্তৃপক্ষের জবাব- 'নর্মালাইজেশন' প্রক্রিয়া কার্যকর হওয়ায় এরকম ঘটেছে। এক্ষেত্রে পরীক্ষায় ১০০-র বেশি পাওয়া যেমন সম্ভব, তেমনই অনেকেই শূন্যর কম-ও পেতে পারেন।

'নর্মালাইজেশন' প্রক্রিয়া আসলে কী?
একটি এমন প্রক্রিয়া যা নিশ্চিত করে যে, পরীক্ষার্থীরা তাদের উত্তর লেখার সময় সুবিধা যেমন পাবেন না, তেমনই অসুবিধারও সম্মুখীন হতে হবে না। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর অন্য পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে তুলনীয়। একই বিষয়ের উপর পরীক্ষা একাধিক কেন্দ্রে একাধিক প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে যখন অনুষ্ঠিত হয়, তখন পরীক্ষার্থীদের প্রতি নিরপেক্ষাতর স্বার্থে 'নর্মালাইজেশন' পদ্ধতি কার্যকর করতে হয়।

তবে এই ব্যবস্থায় জালিয়াতির সম্ভাবনা বেশি, এই অভিযোগে প্রতিবাদে সোচ্চার পরীক্ষার্থীরা। সোমবারই প্রতিবাদীরা জেলা শাসকের দফতরে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবকে উদ্দেস্য করে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে যে, বন ও কারা বিভাগের ২০২৩ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থী ১০০-র মধ্যে ১০১.৬৬ নম্বর পেয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন। 

এই চাকরির পরীক্ষা নিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ এমপ্লয়িজ সিলেকশন বোর্ড। গত ১৩ ডিসেম্বর ফলাফল বের হয়। এরপরই ওই নম্বর নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি হয়। কর্তৃপক্ষ তখন জানায় যে, 'নর্মালাইজেশন' প্রক্রিয়া কার্যকরের ফলেই এই বিভ্রান্তি।

বিক্ষোভকারীদের একজন নেতা গোপাল প্রজাপত সাংবাদিকদের বলেন, "রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ার কারণে মোট নম্বরের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন। আমরা এই অন্যায় প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি।" তিনি ফরেস্ট গার্ড, ফিল্ড গার্ড (এক্সিকিউটিভ) ও জেল গার্ড (এক্সিকিউটিভ) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। প্রজাপতের হুঁশিয়ারি, এই বিষয়ে কিছু সুরাহা না করা হলে চাকরি প্রার্থীরা আরও বড় আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবেন।