বেড়াতে গেলে বাড়তি খাওয়াদাওয়া, অনিয়মিত ঘুম আর শরীরচর্চা না করা খুবই স্বাভাবিক। ফলস্বরূপ অনেকেরই অল্প দিনে ওজন বেড়ে যায়। তবে খানিকটা নিয়ম মেনে চললেই কিন্তু এই সমস্যায় সমাধান পাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে কোন কোন সহজ অভ্যাস মেনে চললে ছুটির আনন্দ বজায় রেখেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, জেনে নিন-
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য ওজন বাড়াও হাঁটু ও জয়েন্টের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে চললে জয়েন্টের ক্ষয়, ব্যথা এবং চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তাই ছুটির সময় পুরোপুরি রুটিন ছেড়ে না দিয়ে কিছু স্বাস্থ্যকর কৌশল মেনে চলার পরামর্শ দেন তাঁরা।
১. সারাদিন চলাফেরা বন্ধ করবেন নাঃ ছুটিতে অনেকেই বেশিরভাগ সময় বসে কাটান। চিকিৎসকের পরামর্শ, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, সিঁড়ি ওঠানামা বা হালকা শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া জরুরি। এতে ক্যালোরি বার্ন হয় এবং শরীরের মেটাবলিজম সক্রিয় থাকে। নিয়মিত চলাফেরা ওজন বাড়ার ঝুঁকি কমায় এবং জয়েন্টও সুস্থ রাখে।
২. স্ট্রেন্থ ট্রেনিংকে গুরুত্ব দিনঃ শুধু হাঁটা নয়, পেশি শক্ত রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করলে শরীরের মাসল টোন বজায় থাকে এবং অতিরিক্ত চর্বি জমার প্রবণতা কমে। স্কোয়াট, লাঞ্জ বা হালকা ওজন দিয়ে ব্যায়াম করলে হাঁটু ও কোমরের উপর চাপও কম পড়ে।
৩. ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ ছুটির সময় রাত জাগা ও অনিয়মিত জীবনযাপন খুব সাধারণ। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, খিদে বেড়ে যায় এবং ওজন বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করলে শরীর নিজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
৪. প্রোটিন ও জল খাওয়ার দিকে নজর দিনঃ ছুটির দিন খাবারে মিষ্টি ও তেলেভাজা থাকলেও ডায়েটে প্রোটিন রাখা জরুরি। প্রোটিন বেশি সময় পেট ভর্তি রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে কমায়। পাশাপাশি সারাদিন পর্যাপ্ত জল খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং অতিরিক্ত খিদে পায় না।
ছুটির আনন্দ উপভোগ করার মাঝে শরীরের দিকে খেয়াল না রাখলে চলবে না। একটু সচেতন হলেই ওজন বাড়ার ভয় এড়ানো যায়। সহজ কয়েকটি অভ্যাস মেনে চললে উৎসবের পরেও শরীর থাকবে সুস্থ ও ফিট।
