আজকাল ওয়েবডেস্ক: মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল একটি পরিবার। সকলের মঙ্গলকামনায় পুজো দিতে গিয়ে এমন ফ্যাসাদে পড়তে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি। মন্দির প্রাঙ্গনে অবস্থিত একটি দোকান থেকে প্রসাদ কিনতে অস্বীকার করায় মারধর করা হল গ্রাহকদের। লখনউয়ের চন্দ্রিকা দেবী মন্দির চত্বরে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দোকানদারেরা পরিবারটিকে বেল্ট দিয়ে পেটাচ্ছেন। এমনকি চড় এবং ঘুষিও মারছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বকশি কা তালাব (বিকেটি) থানা এলাকায় অবস্থিত মন্দির প্রাঙ্গণে এই ঘটনাটি ঘটে। সূত্রের খবর, লখনউয়ের আলিগঞ্জের বাসিন্দা পীযূষ শর্মা তাঁর পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে প্রসাদ, ফুলের মালা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার করা বেশ কয়েকজন দোকানদার তাঁদের স্টল থেকে জিনিসপত্র কিনতে জোরাজুরি করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। পরিবারটি যখন কিছু কিনতে অস্বীকার করে, তখন দোকানদাররা রেগে যান এবং তাঁদের উপর হামলা চালান। পরিস্থিতি দ্রুত হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। কেবল পুরুষ সদস্যদেরই নয়, পরিবারের মহিলাদেরও বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রমণকারীরা পরিবারের সদস্যদের মারধর করার জন্য লাথি, ঘুষি এমনকি বেল্টও ব্যবহার করেন।
बीकेटी स्थित चंद्रिका देवी मंदिर पर दर्शन करने आए महिला व पुरुष श्रद्धालुओं को...मेला दुकानदारों ने जमकर पीटा..श्रद्धालु हुए चोटिल..पुलिस कर्मी नदारद..????..आए दिन श्रद्धालुओं से की जाती है..बदसलूकी..@LkoCp
— Vivek Sharma (@Lko_VivekSharma)
मामला रफादफा करने में जुटे..चौकी प्रभारी..@lkopolice
जनहित में उक्त… pic.twitter.com/1oCycg98wETweet by @Lko_VivekSharma
পরিবারের মহিলাদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করা হয়েছে। গোটা ঘটনাটি মন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরেই ঘটেছিল এবং সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে একদল যুবক পরিবারটির উপর হামলা চালাচ্ছে। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই বি কে টি থানার স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় গিয়ে অভিযুক্ত দোকানদারদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিকেটি স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ-সহ খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হামলার ভাইরাল ভিডিওটি ধর্মীয় স্থানগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, একটি পবিত্র মন্দিরে কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন সকলেই।
