আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রবল বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যেতে বসেছিল বিয়ে। কী করা যায় সেই চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছিল হিন্দু যুগলের। সেই সময়ই পাশে এসে দাঁড়ালেন এক মুসলিম যুগল। নিজেদের বিয়ের মণ্ডপের পাশেই জায়গা করে দিলেন ওই হিন্দু যুগলকে। সম্প্রীতির এক অনন্য নজির স্থাপন হল পুণেতে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুণের ওয়ানওরি এলাকায় একটি খোলা মাঠে সাতপাকে বাঁধা পড়ার কথা ছিল সংস্কৃতি কাওয়াড়ে এবং নরেন্দ্র গালান্দের। ছাদনাতলা তৈরি করা হয়েছিল খোলা আকাশের নীচেই। বিয়ের রীতিনীতি শুরু হওয়ার ঠিক আগেই নামে বৃষ্টি। ক্রমে তা প্রবল আকার ধারণ করে। কিছুক্ষণের বৃষ্টিতে মণ্ডপ ভেসে যায়। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে ছাউনির খোঁজে মণ্ডপ ছেড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েন সকল অতিথিরা। 

প্রবল বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠানস্থলটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দুই বাড়ির বয়স্করা মিলে কাছেরই একটি হলে একটি মুসলিম যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল সেখানে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং হলটি ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

নরেন্দ্র পরিবারের এক ব্যক্তি বলেন, “অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে বিশৃঙ্খলা ছিল। কাছাকাছি হলটিতে ওয়ালিমা (মুসলিম বিয়ের রীতি) অনুষ্ঠান চলছিল।“ তিনি আরও বলেন, “আমরা সেখানে গিয়ে কাজিকে অনুরোধ করি সপ্তপদী অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে দেওয়ার জন্য।“ মুসলিম পরিবারটি সেই অনুরোধ মেনে নেয়।

ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, মুসলিম বিয়েটিতে আগত অতিথিরা বিয়ের মণ্ডপ সাজাতে সহায়তাও করেন। এর পরেই দু’টি বিয়ে একসঙ্গে নিজেদের রীতিনীতি মেনে সম্পন্ন হয়।

দুই বিয়েতে আগত অতিথিরা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। মুসলিম দম্পতি মাহিন এবং মহসিন কাজি নরেন্দ্র এবং সংস্কৃতির সঙ্গে ছবিও তোলেন।