আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে দেশের জাতীয় উৎপাদনের হার কমতির দিকে থাকবে। শনিবার সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার আগে সরকার প্রকাশিত আর্থিক সমীক্ষায় এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। আসন্ন আর্থিকবর্ষে দেশের জাতীয় উৎপাদনের হার ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ থাকবে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, "দেশের অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তিগুলি বেশ পোক্ত। বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারও পূর্ণ। রাজস্ব একত্রীকরণ ও আদায় ভাল হয়েছে এবং স্থিতিশীল বেসরকারি খরচ পরিলক্ষিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারসাম্য বজায় রেখে ২০২৬ আর্থিক বছরে জিডিপির হার ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।"
সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, বিশ্ববাজারে দুর্বল চাহিদা এবং আবহাওয়ার টানাপোড়েনের কারণে উৎপাদন ক্ষেত্র কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে, "স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ চাহিদার জেরে বেসরকারি খরচ তেমন বৃদ্ধি হয়নি। আর্থিক শৃঙ্খলা এবং বহিরাগত বিনিয়োগও ভারসাম্যযোগ্য, যা পরিষেবা বাণিজ্য উদ্বৃত্ত এবং সুস্থ রেমিট্যান্স বৃদ্ধি সহায়ক।"
২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে খরিফ ফসলের ফলে সবজির দাম কমবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২৬ আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে রবি শস্যের ফলন যথেষ্ট বেশি হবে বলেও আশা। ফলে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার আরও নিম্নমুখী হবে বলেই মনে করছেন সমীক্ষকরা।
ভারতে লগ্নির ক্ষেত্রে মন্দা এসেছে বলে উল্লেখ রয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়। তবে বিষয়টিকে সাময়িক হিসাবেই বর্ণনা করা হয়েছে সমীক্ষায়। এছাড়া বলা হয়েছে যে, ২৬ সালে দেশে বিনিয়োগ, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতায় ইতিবাচক গতি দেখতে পারে।
