আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাসপাতালের শৌচালয়ে গিয়ে চমকে উঠলেন নার্সরা। শৌচালয়ের মধ্যে লুকোনো রয়েছে ক্যামেরা। শৌচালয়ে গোপন ক্যামেরা দেখেই অভিযোগ জানানো হয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তদন্তে নেমে ৩৩ বছর বয়সি জুনিয়র চিকিৎসকের কীর্তিতে চোখ ছানাবড়া পুলিশেরও। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে। হাসপাতালের শৌচালয়ে গোপন ক্যামেরা রাখার অভিযোগে শনিবার জুনিয়র চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত চিকিৎসক কোয়েম্বাটুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। সার্জারিতে স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। 

পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালের যে শৌচালয় থেকে গোপন ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি মহিলা, পুরুষ  উভয়েই ব্যবহার করতেন। গত বৃহস্পতিবার ওই শৌচালয়ে গিয়ে ক্যামেরাটি নজরে পড়ে এক নার্সের। শৌচালয়ের মধ্যে ব্রাশের মধ্যে পেন ক্যামেরাটি দেখতে পান তিনি। ব্রাশের সঙ্গে রবার ব্যান্ড দিয়ে সেটি আটকে রাখা ছিল। গোপন ক্যামেরা দেখেই হাসপাতালের সুপারকে জানান তিনি। 

হাসপাতালের সুপারের নির্দেশে আরএমও এবং অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার গোপন ক্যামেরাটি দেখতে যান। অভিযোগ, শৌচালয়ে গিয়ে গোপন ক্যামেরা থেকে মেমোরি কার্ডটি খুলে নেন চিকিৎসক। পোল্লাচি পূর্ব থানায় খবর পাঠান হাসপাতালের সুপার। তদন্তে নেমে জুনিয়র চিকিৎসককে জেরা করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরার পর অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসক স্বীকার করে নেন, ক্যামেরাটি তিনিই লুকিয়েছিলেন। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে গোপন ক্যামেরা শৌচালয়ে রেখেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।