আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সময়ে পাকিস্তানকে তুরস্কের সমর্থনের পর, সে দেশের সঙ্গে ব্যবসা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি অনেক দিন ধরে চর্চায় রয়েছে। দাবি উটেছিল তুরস্ক থেকে ভারতে আমদানি পণ্যের উপর নিষিদ্ধ জারির। এমনকি সরকার তুরস্কের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করেছে। কিছু সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান তুরস্কের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
হিমাচল প্রদেশের আপেল উৎপাদক এবং রাজস্থানের মার্বেল ব্যবসায়ীরাও দেশ থেকে আমদানির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু, ভারত তুরস্কের সঙ্গে সমস্ত ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেনি।
কেন? কারণ বিভিন্ন ব্যবসার অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করেছে সরকার। যদিও সরকার জাতীয় নিরাপত্তার কারণে তুর্কি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে, তবুও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিষয়টি এখনও সতর্কতার স্তরে রয়েছে।
এর প্রাথমিক কারণ হল, তুরস্কের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ২.৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর অর্থ হল তুরস্কে, ভারতের রপ্তানি- আমদানির চেয়ে বেশি। নিষেধাজ্ঞা কেবল তুরস্কের উপর প্রভাব ফেলবে না বরং ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স এবং রাসায়নিকের মতো ক্ষেত্রে ভারতীয় রপ্তানিকারকদেরও প্রভাবিত করবে।
'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাণিজ্য মন্ত্রকের একজন আধিকারিক বলেছেন, "তুরস্ক থেকে আমদানি বন্ধ করার জন্য আমরা বেশ কয়েকটি অনুরোধ পেয়েছি। তবে, আমাদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থও বিবেচনা করতে হবে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা একটি শক্তিশালী ভূ-রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কতদূর তা নিতে ইচ্ছুক?"
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত, তুরস্কে ৫.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। যার মধ্যে কেবল ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রয়েছে। এই রপ্তানির ৩৫-৪০ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্র থেকে এসেছে।
তুরস্ক, ভারত থেকে ২.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। যার মধ্যে ২৭০.৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সোনা এবং প্রায় ১০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফল ও বাদাম রয়েছে। আপেলের মতো ফল ও বাদাম আমদানি আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
