আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের সাংস্কৃতিক ও দার্শনিক উত্তরাধিকারের ঐতিহাসিক স্বীকৃতিস্বরূপ, ভাগবদ গীতা এবং ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র ইউনেস্কোর 'মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টা'-এ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই ঘোষণাকে দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে বিবেচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশাল মিডিয়া পোস্টে এটিকে "বিশ্বজুড়ে প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত" বলে অভিহিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের একটি পোস্ট রিটুইট করেছেন, যিনি প্রথম শিলালিপিটির খবর শেয়ার করেছিলেন। শেখাওয়াত এই ঘোষণাকে "ভারতের সভ্যতাগত ঐতিহ্যের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্সবার্তায় লিখেছেন, 'এটা গোটা বিশ্বের ভারতীয়র কাছে অতি গর্বের দিন। ইউনেস্কোর এই মর্যাদা আমাদের কালজয়ী চিরন্তন জ্ঞান এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিস্বরূপ। গীতা ও নাট্যশাস্ত্র শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমাদের সভ্যতা এবং চেতনাকে বিকশিত করেছে। এর অন্তর্দৃষ্টি ও দর্শন পৃথিবীর মানুষকেও উদ্বুদ্ধ করে এসেছে।' 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">April 18, 2025

ইউনেস্কোর 'মেমরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার' গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক লেখ্য, পাণ্ডুলিপি এবং দলিলকে স্বীকৃতি দেয়। যে লেখাপত্র যুগ যুগ ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সমাজকে প্রভাবিত করে এসেছে, সেগুলিকেই এই মর্যাদা দিয়ে থাকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। 

মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বন্ধু অর্জুনকে যে বাণী দিয়েছিলেন, তাই পৃথকভাবে ভাগবদ গীতা নামে পরিচিত। এটি একটি শ্রদ্ধেয় ধর্মগ্রন্থ এবং আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক। অন্যদিকে, বৈদিক যুগে ভরত মুনি নাট্যশাস্ত্র লিখেছিলেন। নৃত্যকলা, অভিনয়, গীত-সুরের ভিত্তি বলে এই শাস্ত্রকে বেদ বলে।