আজকাল ওয়েবডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। সেই আশঙ্কা নিশ্চিত করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সি আর পাটিল নিশ্চিত করেছেন, আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি।
গুজরাটের মেঘানিনগরে বিমান দুর্ঘটনা। অহমদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রিবাহী বিমান। ওই বিমানে ছিলেন প্রায় আড়াই'শ যাত্রী-ক্রু। এআই১৭১ নম্বরের এই বিমানটি দুপুর ১টা ১০ মিনিটে অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই লোকালয়ের মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ার।
দুর্ঘটনার পরেই জানা গিয়েছিল, ওই বিমানে ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রূপানি। আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জানিয়েছেন বিজয় রূপানি প্রয়াত।
আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১:১৭ নাগাদ উড়ান নেওয়ার মাত্র ২১ মিনিটের মধ্যেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান। গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)-এর তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। দু’জনের সম্মিলিত উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল ৯,৩০০ ঘণ্টা। তার মধ্যে ক্যাপ্টেন সবরওয়ালের ৮,২০০ ঘণ্টা এবং কুন্দরের অভিজ্ঞতা ছিল ১,১০০ ঘণ্টা।
ডিজিসিএ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, উড়ানের সময় মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট হারে নিচে নামতে শুরু করে বিমানটি। পাইলটদের হাতে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ছিল মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়। জানা গিয়েছে, উড়ানের সামান্য সময়ের মধ্যেই বিমানটি একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, এই অভিশপ্ত দুর্ঘটনা থেকে বেঁছে গিয়েছেন কেবল এক যুবক। আহমেদাবাদের আসারওয়া সিভিল হাসপাতালের জেনারেল বেড়ে শুয়ে এক যুবক দাবি করেছেন, তিনিও ওই বিমানে ছিলেন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর তেমনটাই। ওই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বছর ৪০-এর বিশ্বাস কুমার রমেশ জানিয়েছেন, তিনি ওই বিমানেই ছিলেন। বেঁচে গিয়েছেন বরাত জোরে। ওই বিমানে ছিলেন, তাঁর ভাইও।
