আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটানা প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ত্রিপুরার একাধিক জেলায়। গত সোমবার থেকে সমস্ত নদীর জলস্তর বেড়েছে। প্লাবিত একাধিক জেলা। তুমুল বর্ষণে জল নামার সুযোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে গৃহহীন হাজার হাজার মানুষ। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বন্যা, ধসে ত্রিপুরায় দশজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ একাধিক। আহত বহু। ভারি বৃষ্টি, ধস ও বন্যার কারণে বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেও রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধের ঘোষণা করেছে শিক্ষা দপ্তর। গতকাল কলেজগুলিও বন্ধ ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে ত্রিপুরার সমস্ত সরকারি, বেসরকারি স্কুল, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে আজ। 

 

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ২০০টি উদ্ধারকারী দল কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনীও রয়েছে। রাজ্যের বন্যা কবলিত এলাকার পাশেই মোট ১৮৩টি অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। গতকাল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আরও একটি দল ত্রিপুরায় পৌঁছেছে। এই মুহূর্তে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন।