আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্লান্তি বা ঘুমের ঘাটতি হলে হাই ওঠে, এমনটাই আমাদের সাধারণ ধারণা। কিন্তু যদি পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরেও বারংবার হাই উঠতে থাকে, তবে তাকে সামান্য ক্লান্তি ভেবে এড়িয়ে যাবেন না। মারাত্মক বিপদ ঘটে যেতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই আপাত নিরীহ হাই তোলা হৃদরোগের গুরুতর সঙ্কেত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাই তোলার সঙ্গে আমাদের ‘ভেগাস নার্ভ’ বা ভেগাস স্নায়ুর গভীর যোগসূত্র রয়েছে। এই স্নায়ুটি মস্তিষ্ক থেকে শুরু হয়ে হৃৎপিণ্ড এবং পাকস্থলী পর্যন্ত বিস্তৃত। বিভিন্ন কারণে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ কমে গেলে শরীরে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এই স্নায়ু সেই বিষয়টি বুঝতে পারে ও মস্তিষ্কে সঙ্কেত পাঠায়। তখন আরও বেশি অক্সিজেন গ্রহন করার জন্য শরীর প্রতিবর্তী ক্রিয়া হিসাবে বারংবার হাই তোলে।
চিকিৎসকদের একাংশের মতে, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের পূর্বেও অনেকের মধ্যে অস্বাভাবিক হাই তোলার প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষত, হৃদপিণ্ডের চারপাশে রক্তক্ষরণের মতো ঘটনা ঘটলে ভেগাস স্নায়ু অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ঘন ঘন হাই ওঠে। এছাড়াও, শরীরচর্চা বা সামান্য শারীরিক পরিশ্রমের সময় যদি অস্বাভাবিকভাবে বারবার হাই উঠতে থাকে, তবে তা হৃদযন্ত্রের দুর্বলতার লক্ষণ হতে পারে।
তবে শুধু ঘন ঘন হাই উঠলেই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সাধারণত হৃদরোগে হাই তোলার সঙ্গে সঙ্গে বুকে হালকা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ঘাম হওয়ার মতো অন্যান্য উপসর্গগুলিও দেখা যায়। তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণটিকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন।
