আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিকিৎসকেরা দিবারাত্র বলে চলেছেন ধূমপানের অপকারিতার কথা। তবু হুঁশ ফেরে না অধিকাংশ মানুষের। ধূমপান ছাড়তে পারেন না। কিন্তু জানেন কি ধূমপানে কেবল আপনার একার ক্ষতি হচ্ছে না। ক্ষতি হচ্ছে ভবিষ্যতেরও। অতিরিক্ত ধূমপান পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। ফলে আজকের অভ্যাস আগামী দিনে সন্তানধারণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে ধূমপানের প্রভাব:
 * শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস: ধূমপান শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
 * শুক্রাণুর গুণমান হ্রাস: এটি শুক্রাণুর গতিশীলতা (সাঁতার কাটার ক্ষমতা) কমিয়ে দিতে পারে এবং এমনকী গঠনগত বিকৃতি দেখা দিতে পারে শুক্রানুতে।
 * শুক্রাণুর ডিএনএ-এর ক্ষতি: ধূমপান শুক্রাণুর ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা নিষিক্তকরণ এবং ভ্রূণের বিকাশে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
 * ইরেকটাইল ডিসফাংশন: ধূমপান পুরুষদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ শিথিলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে ধূমপানের প্রভাব:
 * ডিম্বাশয়ের ক্ষতি: ধূমপান ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এবং ডিম্বাণুর গুণমান কমিয়ে দিতে পারে।
 * দ্রুত ডিম্বাণু হ্রাস: ধূমপায়ী মহিলাদের ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে পারে।
 * গর্ভধারণে বিলম্ব: ধূমপান গর্ভধারণের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত করতে পারে।
 * বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বৃদ্ধি: ধূমপায়ী মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি অধূমপায়ী মহিলাদের তুলনায় দ্বিগুণ।
 * গর্ভপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি: ধূমপান গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
 * অকাল প্রসবের ঝুঁকি বৃদ্ধি: ধূমপান অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়ায়।