আজকাল ওয়েবডেস্ক: দৈনন্দিন জীবনে কিছু সাধারণ অভ্যাসই সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ুর চাবিকাঠি। এমনটাই বলছে ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদশাস্ত্র। আয়ুর্বেদে বর্ণিত নয়টি অভ্যাস আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কী সেই নবরত্ন পদ্ধতি?
আরও পড়ুন: ‘ধরবে নাকি?’ পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন প্রযোজক! টাকার বিনিময়ে সঙ্গমও করেন কামসূত্রের নায়িকা?
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত বীর্যপাতে মৃত্যু! শুক্রাণু দান করার নেশায় ডাক্তারি পড়ুয়ার করুণ পরিণতি জানলে চোখে জল আসবে
১. খাবারের আগে উষ্ণ জল পান: প্রতিটি মুখ্য ভোজ, অর্থাৎ সকালের খাবার, মধ্যাহ্নভোজ এবং রাতের খাবারের আগে উষ্ণ জল পান হজমশক্তি বাড়াতে এবং পরিপাকতন্ত্রকে মজবুত করতে সহায়ক।
২. রাত ১১টার আগে নিদ্রা: রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৩. প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা: দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে।
৪. সকালের রোদ গ্রহণ: প্রতিদিন ১৫ মিনিট সকালের হালকা রোদে বসা শরীরে ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে কাজ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
৫. ধীরে ও ভালভাবে চিবিয়ে খাওয়া: খাবার ধীরে ধীরে এবং সঠিকভাবে চিবিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। ফলে শরীর নির্মেদ হয়।
৬. ঘুমতে যাওয়ার আগে ধ্যান: যাঁরা অনিদ্রায় ভোগেন তাঁদের জন্য এই অভ্যাস খুবই জরুরি। আধুনিক কালের সঙ্গে তুলনা করলে ঘুমতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে থেকে ফোন, টিভি প্রভৃতি থেকে বিরত থাকলে মন শান্ত হয়, ঘুম ভাল হয়।
৭. খালি পেটে ফল খাওয়া: দিনের শুরুতে খালি পেটে একটি ফল গ্রহণ শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং শক্তি জোগায়।
৮. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন: দৈনিক অন্তত ১০ মিনিট গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের চর্চা মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৯. পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখা: পরিপাকতন্ত্র বা অন্ত্র পরিষ্কার রাখা অপরিহার্য, কারণ এটি আমাদের মানসিক অবস্থা, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই প্রতিদিন মলত্যাগ করা উচিত।
