আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজও মানবমৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হৃদরোগ। কমা তো দূর, এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। এমনকী আক্রান্ত হচ্ছেন অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রজন্মের ব্যক্তিরাও। অথচ দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় একটু সচেতনতা আনলে অনেকটাই কমানো যায় এই ঝুঁকি। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলি জানাচ্ছে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খেলে হৃদয়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১. ওটস
সকাল শুরু হোক এক বাটি ওটস দিয়ে। এতে ‘বিটা-গ্লুকান’ নামের এক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা খারাপ কোলেস্টের কমায়। একইসঙ্গে পেট ভরাট রাখে দীর্ঘক্ষণ, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। দু’টি বিষয়ই হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।
২. আখরোট ও আমন্ড
এই দুই ধরনের বাদামে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ধমনিতে প্লাক জমা প্রতিরোধ করে। যাঁদের সব সময় কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে, তাঁদের স্ন্যাকস হিসাবে আখরোট বা কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
৩. ফ্যাটি ফিশ (যেমন স্যালমন, সারডিন)
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর এই মাছগুলি হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় ও প্রদাহ রোধ করে। তবে বেশি নয় সপ্তাহে দু’বার খাওয়াই যথেষ্ট। এমনকী আমাদের স্থানীয় রুই-কাতলাতেও একই উপকার মেলে।
৪. বীজ (ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড)
এই সব ছোট ছোট বীজ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে দারুণ কাজে। ফাইবার, ওমেগা-৩ ও লিগনান নামে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই বীজগুলি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমায়।
৫. বেরি (ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, জাম)
বেরি জাতীয় ফলগুলিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন, যা ধমনি সাফ রাখে এবং ধমনীর প্রদাহ কমায়। নিয়মিত বেরি খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমে।
