আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুড় ও চিনি দুটোই মিষ্টিজাতীয় খাবার। এখন অনেকেই দৈনন্দিন খাবারদাবারে যতটা সম্ভব চিনি এড়িয়ে চলেন। তবে এর পিছনে কি আদৌ কোনও যুক্তিসম্মত কারণ রয়েছে? নাকি পুরোটাই হুজুগ? বিশেষজ্ঞদের মতে পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যগত দিকের বিচারে গুড় চিনির তুলনায় কিছুটা বেশি স্বাস্থ্যকর। 

গুড়ের পুষ্টিগুণ:
 * গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকে।
 * এতে ভিটামিন বি এবং কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়।
 * গুড়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স চিনির তুলনায় কিছুটা কম, তাই এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়।

চিনির পুষ্টিগুণ:
 * চিনিতে মূলত সুক্রোজ থাকে, যা একটি সাধারণ শর্করা।
 * এতে কোনও ভিটামিন বা খনিজ পদার্থ নেই।
 * চিনির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।

গুড়ের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:
 * গুড় হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
 * এটি রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক।
 * গুড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
 * এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যগত অপকারিতা:
 * গুড় ও চিনি দুটোই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তে পারে।
 * ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুড় ও চিনি দুটোই ক্ষতিকর।
 * একই কথা প্রযোজ্য কিডনির রোগীদের জন্যেও। উপরন্তু গুড়ে পটাশিয়াম এবং ফসফরাস থাকে। দু’টি খনিজ অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে গেলে কিডনির ক্ষতি হয়।

সবমিলিয়ে বলা যায়, গুড় চিনির তুলনায় কিছুটা বেশি স্বাস্থ্যকর হলেও, বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। তাই গুড়ও পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা কিডনির রোগের মতো অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে গুড় চিনির মতোই বিপজ্জনক হতে পারে। তাই খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।