আজকাল ওয়েবডেস্ক: “হেড আফিসের বড়বাবু লোকটি বড় শান্ত,
তার যে এমন মাথার ব্যামো কেউ কখনো জান্ত?”
সুকুমার রায়ের এই কবিতা যে পেটের রোগের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে প্রযোজ্য একথা জানেন না অনেকেই। আসলে পেট খারাপ মানেই যে সবসময় পেটের সমস্যা তা কিন্তু নয়। অনেক সময়ই পেটের গোলমালের নেপথ্যে থাকে আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম।
কী এই রোগ? এটি মূলত দীর্ঘস্থায়ী পেটের অসুখ। কোষ্ঠকাঠিন্য, পাতলা পায়খানা, পেট ফুলে থাকা বা ব্যথা—এসবই এর উপসর্গ। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, এই রোগ কেবল পেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিষয়টির সঙ্গে যোগ রয়েছে মাথারও। মস্তিষ্কের সঙ্গে পেটের যোগাযোগ রাখে যে স্নায়ু, তার নাম ভেগাস নার্ভ। এই স্নায়ু মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও অন্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। আর এই স্নায়ুই অন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পৌঁছে দেয় মস্তিষ্কে।
আইবিএস রোগে এই নার্ভের সংকেত পাঠানোয় বিভ্রাট ঘটে। ফলে অন্ত্র কখনও খুব দ্রুত, কখনও খুব ধীরে কাজ করে—যার জেরে হজমের গোলযোগ, পেটের ব্যথা ও বমিভাব হয়। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড হেলথ পত্রিকা জানিয়েছে, আইবিএস রোগীদের ক্ষেত্রে ভেগাস নার্ভের কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। আর সেকারণেই সারতে চায় না পেটের সমস্যা।
তবে সেখানে এও বলা হয়েছে, এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে জীবনধারার মানোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত ধ্যান, শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এই নার্ভকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। ফলে পেটের সমস্যাও বাগে আসে। অর্থাৎ, পেটের অসুখ সারাতে গেলে আগে মনকে শান্ত রাখা জরুরি। আর সেই কাজটাই করতে পারলে শান্ত থাকবে ভেগাস নার্ভ।
