আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাইগ্রেনের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। এই ব্যথা ঠিক কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে, তা কেবল যাঁদের হয় তাঁরাই জানেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা হয় তা নিয়ে আজও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। তাই মাইগ্রেন চিরতরে নির্মূল করার উপায়ও এখনও অজানা। অগত্যা ভরসা ব্যথা কমানোর ওষুধ। কিন্তু সব সময় ওষুধ খেলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেনে চলতে পারেন কিন্তু ঘরোয়া টোটকা। ব্যথা শুরু হলে বা হালকা উপসর্গ দেখা দিলেই এই সব ঘরোয়া টোটকা অবলম্বন করতে হবে আর সেগুলোই ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
১. আদা চা বা আদার রস: আদা মাইগ্রেনের ব্যথা এবং বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। ব্যথা শুরু হওয়ার আভাস পেলে এক টুকরো কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদা কুচি দিয়ে গরম চা বানিয়ে পান করতে পারেন। এটি প্রদাহ কমাতেও সহায়ক।
২.  ঠান্ডা বা গরম সেঁক: একটি পরিষ্কার তোয়ালেতে বরফের টুকরো মুড়ে নিয়ে কপালে, মাথার দুই পাশে বা ঘাড়ের পিছনে চেপে ধরুন (কোল্ড কম্প্রেস)। ১৫-২০ মিনিট রাখলে এটি রক্তনালী সংকুচিত করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো পদ্ধতি বেশি কার্যকর। হালকা গরম সেঁক (যেমন হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম জলে ভেজানো তোয়ালে) ঘাড়ে বা কাঁধে রাখলে পেশী শিথিল হয়ে আরাম মেলে। আপনার জন্য যেটি আরামদায়ক মনে হয়, সেটি প্রয়োগ করুন।
 
 আরও পড়ুন: একবার লাগালেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলবে! থ্রি ডি প্রিন্টারে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা
 
 আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
 
 ৩.  অন্ধকার ও শান্ত ঘরে বিশ্রাম: মাইগ্রেনের সময় আলো ও শব্দ অসহ্য লাগতে পারে। ব্যথা শুরু হলে বা বাড়লে একটি অন্ধকার, শান্ত ঘরে চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে বা বসে বিশ্রাম নিন। এটি স্নায়ুকে শান্ত করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৪.  পেপারমিন্ট বা ল্যাভেন্ডার তেল: পেপারমিন্ট তেলে থাকা মেন্থল ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট তেল আঙুলে নিয়ে কপালে বা মাথার দুই পাশের রগে আলতোভাবে মালিশ করতে পারেন। ল্যাভেন্ডার তেলের গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। চাইলে সরাসরি ত্বকে না লাগিয়ে রুমালে কয়েক ফোঁটা নিয়ে গন্ধ শুকতে পারেন।
 
 
৫.  পর্যাপ্ত জল পান করা: কখনও কখনও শরীরে জলের অভাব বা ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এই জলশূন্যতাও মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। তাই মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দিলে বা ব্যথা চলাকালীন কিছু সময় অন্তর অন্তর অল্প অল্প করে জল পান করতে থাকুন। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
তবে মনে রাখবেন, শুধু মাইগ্রেন নয়, স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের টিউমার থেকেও মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। যদি ঘন ঘন মাথা যন্ত্রণা হয় বা এই টোটকাগুলিতে না মাথা যন্ত্রণা না কমে, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
