আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেহে বাড়তি মেদ জমা কিংবা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে উচ্চ ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারকে দায়ী করা হয়। বিশেষ করে যেসব খাদ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) ও স্টার্চের পরিমাণ বেশি—তেমন খাবার নিয়মিত খেলে সমস্যা আরও বাড়ে। আলু সেই তালিকার অন্যতম। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, আলু একেবারে পরিহার করার বদলে তা কীভাবে রান্না ও খাওয়া হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে এটি উপকারী না ক্ষতিকর হবে।

আসলে, স্টার্চও বিভিন্ন ধরনের হয়—‘আরএস১’, ‘আরএস২’, ‘আরএস৩’ ও ‘আরএস৪’। কাঁচা আলুতে মূলত থাকে ‘আরএস২’ নামক স্টার্চ, যা হজমে কিছুটা কঠিন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। তবে আলু সেদ্ধ করে তা ঠান্ডা করে রাখলে এই স্টার্চ বদলে যায় ‘আরএস৩’-এ, যাকে বলা হয় ‘রেট্রোগ্রেডেড স্টার্চ’। এই ধরনের স্টার্চ শরীরের জন্য তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, কারণ এটি হজম হয় ধীরে এবং রক্তে গ্লুকোজের হঠাৎ বৃদ্ধির ঝুঁকি অনেক কম থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীরাও সেদ্ধ আলু ঠান্ডা করে খেলে তেমন ক্ষতি হয় না। এমনকি এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হতে পারে। অর্থাৎ, আলুতে থাকা উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব সঠিক রান্নার কৌশল অনুসরণ করলে।

এছাড়া, আলু বেক করে, ভাপে সেদ্ধ করে বা গ্রিল করে খেলেও শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব কম পড়ে। তবে অতিরিক্ত তেলে ভাজা কিংবা ক্রিস্পি আলু খাবার যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা আলু চপ অবশ্যই পরিহার করা উচিত। সুতরাং, আলু খাওয়া মানেই যে তা ডায়াবেটিস বা ওজন বাড়ার কারণ হবে, তা নয়। রান্নার ধরন ও পরিমাণের উপর নজর রাখলেই আলু হতে পারে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার।