আজকের দিনে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও টেলিভিশন শিশুদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। একদিকে এগুলির সাহায্যে তথ্য পাওয়া ও যোগাযোগের পথ খুলেছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের ফলে শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও আবেগগত স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অথচ, বকাবকি বা শাস্তি কোনো কার্যকর সমাধান নয়। তাই অভিভাবকদের প্রয়োজন বুদ্ধিদীপ্ত বিকল্প পথ বেছে নেওয়া।
2
8
১. ঘরের বিজ্ঞান পরীক্ষা: স্কুলপাঠ্য বিজ্ঞানের সহজ প্রজেক্ট বা এক্সপেরিমেন্ট ঘরে করানো যেতে পারে, যাতে শেখার আনন্দের সঙ্গে কাজের আনন্দও যুক্ত হয়।
3
8
২. গোয়েন্দা খেলা ও ধাঁধা: ‘ট্রেজার হান্ট’, রহস্যভিত্তিক ধাঁধা বা গোয়েন্দা গল্পের মাধ্যমে শিশুর কৌতূহল ও যুক্তিবোধ বাড়ানো যায়।
4
8
৩. রান্নাঘর ও বাগানে অংশগ্রহণ: বাচ্চাদের রান্না বা গাছের যত্নে সহকারী হিসেবে রাখা তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করে।
5
8
৪. বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা: গল্পের বই পড়া ও লাইব্রেরির সদস্যপদ শিশুর কল্পনাশক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং স্ক্রিন থেকে মন সরাতে সাহায্য করে।
6
8
৫. ইনডোর গেমসের প্রতি আগ্রহ: দাবা, পাজল, বা লুডোর মতো বোর্ড গেমে অংশগ্রহণে শিশুর চিন্তাশক্তি ও ধৈর্য বাড়ে।
7
8
৬. সামাজিক খেলায় অংশগ্রহণ: বাড়ির বাইরের মাঠে খেলাধুলা শিশুর দেহ-মন দুটোই সতেজ রাখে এবং সহানুভূতিশীল মনোভাব তৈরি করে।
8
8
৭. পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো: পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প, রান্না, খেলাধুলা বা পোষা প্রাণীর যত্নে সময় কাটানো শিশুকে মানসিক নিরাপত্তা দেয় এবং স্ক্রিনের প্রতি নির্ভরতা কমায়।