রাতের বিছানায় ওইটা না দেখলে ঘুম আসেনা? এখনই বন্ধ করুন! অজান্তেই ডেকে আনছেন স্নায়ুরোগ!

img

বহুদিন ধরে ধারণা ছিল, শোবার আগে স্ক্রিন ব্যবহার ঘুম নষ্ট করে। কিন্তু JAMA Pediatrics-এ প্রকাশিত নিউজিল্যান্ডের একটি গবেষণা বলছে, ব্যাপারটা এতটা সরল নয়। মূল সমস্যা স্ক্রিন ব্যবহারের সময় ও ধরনে।

img

শোবার দুই ঘণ্টা আগে স্ক্রিন ব্যবহারে ঘুমের উপর খুব কম প্রভাব পড়ে। গড় হিসেবে কিশোররা এই সময়ে প্রায় ৫৬ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহার করে, যা ঘুমের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমায় না।

img

ঘুমাতে যাওয়ার পরে বিছানায় স্ক্রিন ব্যবহারে ঘুম কমে যায়। প্রতি ১০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারে গড়ে ঘুম ৩ মিনিট কমে।

img

বিছানায় ইন্টারঅ্যাক্টিভ স্ক্রিন ব্যবহারে (যেমন গেম খেলা, একাধিক ডিভাইস ব্যবহার) ঘুমের সময় গড়ে ৯ মিনিট কমে। প্যাসিভ অ্যাক্টিভিটি (যেমন ভিডিও দেখা) তুলনায় কম ক্ষতিকর।

img

স্ক্রিন ব্যবহার ঘুমের সময় নয়, বরং ঘুম আসতে সময় বাড়ায় (শাট-আই লেটেন্সি)। এটি মোট ঘুমের সময় কমিয়ে দেয় এবং ঘুমাতে যাওয়ার সময় পিছিয়ে দেয়।

img

স্ক্রিন বন্ধ করে ৩০, ৬০ বা ১২০ মিনিট পর ঘুমাতে যাওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায়নি। বরং কীভাবে স্ক্রিন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

img

গবেষণায় দেখা গেছে, স্ক্রিন ব্যবহারের কারণে ঘুমের গুণগত বিষয়—যেমন ঘন ঘন জেগে ওঠা বা গভীর ঘুমের পরিমাণ—তেমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

img

ড. ব্রসনের মতে, ঘুম সংক্রান্ত প্রচলিত নির্দেশিকা এখনকার বাস্তব জীবনের সঙ্গে খাপ খায় না। স্ক্রিনের আলো নয়, বরং সময় ও ধরন নিয়েই ভাবা দরকার।