স্নান করা মানুষের নিত্যদিনের একটি নিয়ম। কিন্তু স্নান সারাদিনের মধ্যে ঠিক কখন করা উচিৎ এ বিষয়ে কেউই বিশেষ চিন্তা করেনা। সম্প্রতি স্নান নিয়ে কিছু ব্যাখ্যা উঠে এসছে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল - এর গবেষক এবং প্রশিক্ষকদের মতে, সকালে বা রাতে স্নান করা ভালো। তবে তা পুরোপুরি নির্ভর করে মানুষের প্রয়োজন এবং লক্ষ্যের উপর।
2
8
ডঃ শাহাব হাগায়েগ হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের স্লিপ মেডিসিন বিভাগের গবেষক। তিনি ঘুমের উপর স্নানের প্রভাব নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
3
8
১) রাতে ঘুমানোর ১ থেকে ২ ঘণ্টা আগে ঈষদুষ্ণ (খুব গরম নয় এমন) জলে স্নান করলে তা শরীরকে দ্রুত শীতল হতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমার এই প্রক্রিয়াটি মস্তিষ্কে ঘুমের সংকেত পাঠায়, ফলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে।
4
8
২) সঠিক সময়ে উষ্ণ জলে স্নান করলে কেবল ঘুম তাড়াতাড়ি আসে তাই নয়, এটি ঘুমের গুণগত মান বাড়ায়। অর্থাৎ, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে না গিয়ে মানুষ অনেক গভীরভাবে ঘুমাতে পারেন।
5
8
৩) রাতে স্নান করলে সারাদিনের জমে থাকা ময়লা, ধুলো, অ্যালার্জেন এবং ঘাম পরিষ্কার হয়ে যায়।
6
8
৪) রাতে স্নান করার পাশাপাশি দিনে সকাল সকাল স্নান করারও কিছু উপযোগিতা আছে। হার্ভার্ডের মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, যদি মানুষের সামনে একটি কঠিন কাজ বা কোনও সমস্যা থাকে যার সমাধান তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না, সেক্ষেত্রে সকালে স্নান করলে মনোযোগ বাড়ে। শিথিল অবস্থায় মন দ্রুত সৃজনশীল ভাবনা খুঁজে নিতে পারে।
7
8
৫) যাঁরা সকালে সহজে ঘুম থেকে উঠতে বা চাঙ্গা হতে পারেননা তাঁদের জন্য সকালে উষ্ণ জলে স্নান করাটা খুবই কার্যকর। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে সতেজতা এনে কাজে মন দিতে সাহায্য করে।
8
8
৬) দিনের শুরুতে স্নান করলে তা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, ঠান্ডা জলে অল্প সময়ের জন্য স্নান করলে মন আরও সজাগ হয়।