সিফিলিস একটি যৌনরোগ যা ট্রেপোনেমা প্যালিডাম নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি একটি জটিল রোগ, যা বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা দিতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করালে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হতে পারে।
2
9
সিফিলিস প্রধানত যৌন সংসর্গের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সংক্রামিত ব্যক্তির ত্বকের ক্ষত বা মিউকাস মেমব্রেনের সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা নারী থেকে তার শিশুর মধ্যেও সিফিলিস ছড়াতে পারে, একে জন্মগত সিফিলিস বলে।
3
9
সিফিলিসের একাধিক পর্যায় থাকে, যেগুলিতে আলাদা আলাদা উপসর্গ দেখা যায়।
4
9
প্রাথমিক সিফিলিস: এই পর্যায়ে, সংক্রমণের স্থানে (সাধারণত যৌনাঙ্গ, মুখ বা মলদ্বার) ব্যথাহীন ঘা দেখা দেয়। এই ঘা সাধারণত তিন থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়, তবে এর মানে এই নয় যে সংক্রমণ সেরে গেছে।
5
9
দ্বিতীয় পর্যায়ের সিফিলিস: ঘা সেরে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পরে, শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে হাতের তালু এবং পায়ের তলায়। এছাড়াও চুলকানি জ্বর, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এবং লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
6
9
সুপ্ত সিফিলিস: এই পর্যায়ে, কোনও লক্ষণ নাও থাকতে পারে। চিকিৎসা না করালে, সংক্রমণ বছরের পর বছর ধরে শরীরে নীরবে থেকে যেতে পারে।
7
9
তৃতীয় পর্যায়ের বা টারশিয়ারি সিফিলিস: এই পর্যায়ে সংক্রমণ মস্তিষ্ক, স্নায়ু, চোখ, হৃদপিণ্ড এবং অন্যান্য অঙ্গের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। এমনকী পক্ষাঘাত, অন্ধত্ব, হৃদরোগ এবং এমনকি মৃত্যুও হতে পারে রোগীর।
8
9
সিফিলিসের চিকিৎসা: সিফিলিসের চিকিৎসা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে করা হয়, সাধারণত পেনিসিলিন ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা করালে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।
9
9
প্রতিরোধ: কনডোম ব্যবহার করা, একাধিক যৌন সঙ্গীর সংসর্গ এড়িয়ে চলা, নিয়মিত যৌন রোগের পরীক্ষা করা এই রোগ প্রতিরোধ করার শ্রেষ্ঠ উপায়।