আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের জনসংখ্যা দেড়শো কোটির দিকে এগোচ্ছে কিন্তু আজও যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ ঢাকেন অনেকে। আর সে কারণেই না বলা থেকে যায় নানা যৌন সমস্যার কথা। তেমনই একটি সমস্যা হল প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন বা অকাল বীর্যপাত।
2
17
প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন বা অকাল বীর্যপাত এমন একটি অবস্থা যেখানে যৌন মিলনের সময় পুরুষাঙ্গ যোনিতে প্রবেশের পূর্বে, প্রবেশকালে অথবা প্রবেশের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই (সাধারণত ১ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে) সামান্য যৌন উত্তেজনায় ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বীর্যস্খলন ঘটে যায়।
3
17
এই দ্রুত বীর্যপাতের উপর ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ থাকে খুব কম বা একেবারেই থাকে না। এর ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজে এবং তার সঙ্গী যৌন অতৃপ্তিতে ভুগতে পারেন, যা থেকে পরবর্তীতে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা এবং যৌনমিলন এড়িয়ে চলার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
4
17
প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন কেন হয়? প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশনের নির্দিষ্ট কারণ সবসময় পরিষ্কার না হলেও, এটি সাধারণত শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণের সমন্বয়ে ঘটে থাকে।
5
17
উদ্বেগ: যৌন কর্মক্ষমতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা বা ব্যর্থতার ভয়। যৌনমিলনের শুরুতে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে পড়াও এর কারণ হতে পারে।
6
17
মানসিক চাপ: জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রের চাপ যৌন জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে
7
17
সম্পর্কের সমস্যা: সঙ্গীর সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাব বা মানসিক দূরত্ব।
8
17
ডিপ্রেশন: বিষণ্ণতা যৌন ইচ্ছার পাশাপাশি বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
9
17
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: টেস্টোস্টেরন বা থাইরয়েড হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশনের কারণ হতে পারে।
10
17
নিউরোট্রান্সমিটারের সমস্যা: মস্তিষ্কে যে রাসায়নিক পদার্থ সংবেদন বহন করে তাকে নিউরোট্রান্সমিটার বলে। এমনই একটি নিউরোট্রান্সমিটার সেরোটোনিনের মাত্রা কম থাকলে দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।
11
17
প্রোস্টেট বা মূত্রনালীর প্রদাহ/সংক্রমণ: প্রোস্টাটাইটিস বা ইউরেথ্রাইটিসের মতো সমস্যা। লিঙ্গের ত্বক বা অগ্রভাগ অতিরিক্ত সংবেদনশীল হলেও এমন হতে পারে।
12
17
অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা: যেমন স্নায়ুরোগ বা মেরুদণ্ডে আঘাত, ইরেকটাইল ডিসফাংশন প্রভৃতি কারণেও এমন হতে পারে।
13
17
কীভাবে প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়? স্টার্ট স্টপ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে যৌন উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর ঠিক আগে যৌন কার্যকলাপ থামিয়ে দেওয়া হয়। বীর্যপাতের ইচ্ছা কমে গেলে আবার শুরু করা হয়। এটি কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করা হয়।
14
17
স্কুইজ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে বীর্যপাতের ইচ্ছা জাগলে লিঙ্গের অগ্রভাগের ঠিক নিচে আলতো করে কয়েক সেকেন্ড চেপে ধরে রাখা হয়, যতক্ষণ না বীর্যপাতের ইচ্ছা চলে যায়। তারপর আবার যৌন কার্যকলাপ শুরু করা হয়।
15
17
কেগেল ব্যায়াম: পেলভিক ফ্লোর পেশী (যে পেশীগুলি প্রস্রাব এবং বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে) নিয়মিত সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে শক্তিশালী করলে বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণে উন্নতি হতে পারে।
16
17
মানসিক চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং: মনোবিদ বা কাউন্সেলরের সঙ্গে কথা বলে উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অপরাধবোধ বা সম্পর্কের সমস্যাগুলির সমাধান করা। কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা ও বোঝাপড়া বাড়ানো জরুরি।
17
17
সংকোচ না করে একজন চিকিৎসক বা যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তিনিই সঠিক কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।