জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কিছু সম্পর্ক আমাদের জীবনে আসে পূর্বজন্মের যোগসূত্রের কারণে। সিনাস্ট্রি হল দুটি ব্যক্তির জন্মছকের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, যা এই গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। চার্টে নির্দিষ্ট কিছু অবস্থান থাকলে বোঝা যায়, ভালোবাসা কেবল এই জন্মের নয়—পূর্বজন্মের প্রতিধ্বনি।
2
6
যদি কারও গ্রহ অপরজনের চতুর্থ ঘরে পড়ে, তা একটি পরিচিত, ‘বাড়ির মতো’ উষ্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। চতুর্থ ভাব পরিবারের, শিকড়ের ও গভীর আবেগের প্রতীক। এই সংযোগে সম্পর্কটি প্রথম থেকেই আপন মনে হয়, যেন আত্মারা আগে থেকেই একে অপরকে চেনে।
3
6
অষ্টম ভাব ঘনিষ্ঠতা, রূপান্তর ও গোপন আবেগের প্রতিনিধিত্ব করে। যখন একে অপরের গ্রহ অষ্টম ঘরে অবস্থান করে, সম্পর্কটি হয়ে ওঠে প্রবল ও তীব্র। এই যোগ কর্মফলের — উভয়ের জীবনে অমীমাংসিত ক্ষত উন্মোচন করে নিরাময়ের সুযোগ আনে।
4
6
দ্বাদশ ভাব আত্মা, কর্মফল ও অতীতজন্মের স্মৃতির সঙ্গে যুক্ত। কারও গ্রহ যদি অপরজনের দ্বাদশ ঘরে পড়ে, সম্পর্কটি হয়ে ওঠে অন্য গ্রহের ও রহস্যময়। অনেক সময় এই যোগে পুরনো আবেগ ও অজানা টান ফিরে আসে, যা আত্মার গভীর স্তরে প্রভাব ফেলে।
5
6
সাউথ নোড বা দক্ষিণ নোড পূর্বজন্মের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা বহন করে। যদি একজনের সাউথ নোড অন্যজনের গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ বা বিন্দুর সঙ্গে যুক্ত হয়, তা পুরনো জীবনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত দেয়। তবে এই সম্পর্কের উদ্দেশ্য শুধু পুনর্মিলন নয়, বরং একসঙ্গে নতুন দিগন্তে অগ্রসর হওয়া।
6
6
একটি বা দুটি সিনাস্ট্রি যোগ কেবল ইঙ্গিত দেয়, কিন্তু একাধিক অবস্থান মিলে গেলে সম্পর্কটি সত্যিই অতীতজন্ম-সংক্রান্ত বলে ধরা হয়। পূর্ণ জন্মছক বিশ্লেষণই সবচেয়ে নির্ভুল উপায়। এই জ্যোতিষীয় অন্বেষণ কেবল ভালোবাসা নয়, আত্মার যাত্রা ও বিকাশকেও গভীরভাবে প্রকাশ করে।