নিজস্ব সংবাদদাতা: চলতি বছরে নাট্যকার বাদল সরকারের জন্মশতবর্ষ। তাঁর রচিত অন্যতম বিখ্যাত ও আলোচিত নাটক ‘পাগলা ঘোড়া’কে বড়পর্দায় আনতে চলেছেন পরিচালক শেখর দাস। মুখ্যচরিত্রে দেখা যাবে রজতাভ দত্ত, গার্গী রায়চৌধুরী, সুজন মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রেয়ী ঘোষ, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় শ্রীজাত সাহা-দের। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন স্বভূমি ফিল্মস।
বহুদিন পর পরিচালকের আসনে বসে কেন ‘পাগলা ঘোড়া’কে বেছে নিলেন পরিচালক? আসলে, একটা সময়ে বাদল সরকারের সঙ্গে বহু বছর কাজ করেছেন শেখর দাস। ঘনিষ্ঠও ছিলেন। তাই এই সিদ্ধান্ত। এবং উল্লেখ্য, বরাবরই অন্য স্বাদের ছবি করাতেই বিশ্বসী পরিচালক। এবং তাতেই তিনি পরিচিত। পাগলা ঘোড়া নাটকে ভালবাসা থেকে বিশ্বাসঘাতকতার নানান রূপ বিভিন্নভাবে দেখতে পাওয়া যায়। আছে পুরুষতন্ত্রের নগ্ন রূপ-ও।
‘পাগলা ঘোড়া’ যা কাজ করা নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস লুকিয়ে রাখেননি গার্গী রায়চৌধুরী। তাঁর কথায়, “অনেকগুলো কারণে এই ছবি আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজেক্ট। প্রথমত, বাদল সরকারের এই নাটক অন্যতম বিখ্যাত ও আলোচিত। নিয়মিত মঞ্চে অভিনয় করে যেতে না পারলেও নিজের মধ্যে থিয়েটারের বীজ আজও বহন করে চলি আমি। সেই জায়গা থেকে এই ছবির জন্য রাজি হওয়া। আরও বলি, ১৯৭১-এ এই নাটকের মাধ্যমেই শোভা মিত্র অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের উদ্বোধন করেছিলেন! এবং এই ছবিতে আমি যে চরিত্রটি করছি সে চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেছিলেন খোদ তৃপ্তি মিত্র এবং ওঁর পরে শাঁওলি মিত্র! তাই এরকম একটা চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব দিয়েছেন, ভাললাগা তো আছেই। আসলে এই চরিত্রটা কোথাও নারীশক্তি উদযাপন করছে।”
কথাশেষে অভিনেত্রীর সংযোজন, “প্রথমে যদিও সন্দিহান ছিলাম নিজেকে নিয়ে। কিন্তু ওই যে অঙ্ক যত কঠিন হয়, তার সমাধান করতে তত ভাল লাগে। এছাড়াও রজতাভ, সুজন, ঋতব্রতদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে পারব, সেটাও একটা ব্যাপার।”
পরিচালক শেখর দাস আজকাল ডট ইন-কে বলেন, “আমি বাদলদার সঙ্গে পাগলা ঘোড়া নাটকটি নিয়ে বহু আলোচনা করেছি। মঞ্চস্থ হতে দেখেছি। ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, এই নাটকের মধ্যে ছবি তৈরির যাবতীয় উপাদান রয়েছে... তাই পাগলা ঘোড়া কে যদি ঠিকভাবে পর্দায় উপনীত করা যায়, তাহলে বাংলা ছবি একটা নতুন কিছু আসবে, তার কারণ এই নাটকের গঠনশৈলী। ভীষণ অন্যরকমের। এবার দেখা যাক, কতটা কী করতে পারি আমরা।” পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, কলকাতা জুড়েই চলবে এই ছবির শুটিং।
