সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ভারতীয় ছবির ইতিহাসে জীবিত অবস্থায় ‘কিংবদন্তি’র আখ্যা পেয়ে গিয়েছেন তিনি। বলিউডের সর্বকালের সবথেকে উজ্জ্বলতম নক্ষত্রদের দলেও তাঁর আলোর ছটা সম্ভবত সবথেকে বেশি। তবে জানেন কি, এই তারকা-অভিনেতার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল একের পর এক ফ্লপ ছবি দিয়ে। এবং তা এতটাই হয় যে তাঁর নামের সঙ্গে অদৃশ্যভাবে লেগে গিয়েছিল ফ্লপ মাস্টারের তকমা। সবমিলিয়ে একসময় এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন যে অভিনয় ছাড়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছিলেন। তিনি অমিতাভ বচ্চন!
কিন্তু স্রেফ একটি ছবি অমিতাভের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রাতারাতি সারা দেশে পরিচিতি দেওয়ার পাশাপাশি বলিপাড়ার তারকা বানিয়ে দিয়েছিল তাঁর। ছবির নাম? জঞ্জীর। এই ছবি নিয়ে বলিউডের তৎকালীন প্রথম সারির তারকাদের দোরে দোরে ঘুরেছিলেন সেলিম খান-জাভেদ আখতার। সেই সময়ের বলিউডের সবথেকে জনপ্রিয় গল্পকার তথা চিত্রনাট্যকার ছিলেন তাঁরা। এতটাই জনপ্রিয় ছিল তাঁদের জুটি যে তাঁদের নামে ছবি বিক্রি হত। হিন্দি ছবির নায়কের মতোই কিংবা তাঁর থেকেও বেশি পারিশ্রমিক পেতেন সেলিম-জাভেদ।
ধর্মেন্দ্র, রাজ কুমার, দিলীপ কুমার, দেব আনন্দ এবং রাজেশ খান্না। এঁরা প্রত্যেকে ফিরিয়েছিলেন জঞ্জীর ছবির প্রস্তাব। জেদ চেপে গিয়েছিল সেলিম-জাভেদের। নিজেদের উপর বিশ্বাসও ছিল ভরপুর। তাঁরা জানতেন এই গল্প নিয়ে ছবি হলে দর্শক নেবে। এবং দারুণভাবেই গ্রহণ করবে। পরিচালক প্রকাশ মেহরাকে বুঝিয়েছিলেন তাঁরা সেকথা। অন্যদের উপর ভরসা না করে ফ্লপমাস্টার অমিতাভকেই বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা, জঞ্জীর -এর নায়কের চরিত্রে। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। ৯০ লক্ষ টাকা বাজেট ছিল এই ছবির। যায় করেছিল ১৭ কোটি টাকা! বাকিটা ইতিহাস।
