ভারতীয় হাইকমিশনে ঢুকে পড়ার হুঁশিয়ারিই সার! বিক্ষুব্ধদের পৌঁছতেই দিল না বাংলাদেশের পুলিশ

লক্ষ্য ভারতীয় হাইকমিশন, বাংলাদেশে মিছিল আটকাল পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাম্প্রতিককালে, বিশেষ করে হাসিনা সরকারের পতন এবং হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণের পর থেকে, চিড় ধরেছে দু'দেশের কুটনৈতিক সম্পর্কে। সম্প্রতি হাসিনার ফাঁসির সাজা ঘোষণা হওয়ার পর, বাংলাদেশ ভারতের কাছে চিঠি পাঠালেও, হাসিনা এখনও ভারতেই রয়েছেন। এবার হাসিনাকে দেশে ফেরত না পাঠালে, ভারতীয় হাইকমিশনে ঢুকে পড়ার হুমকি দিয়েছে পদ্মাপারের একদl বিক্ষুব্ধ। তবে হাই কমিশনের উদ্দেশে বুধবার মিছিলও করে তারা। তবে তার কাছে পৌঁছনোর আগেই, বাধা দিল বাংলাদেশের পুলিশই। সব মিলিয়ে বুধবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হল এলাকা।

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম 'প্রথম আলো' সূত্রে খবর, ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত, সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে না দিলে, পুলিশের বাধা অতিক্রম করেই বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনে ঢুকে পড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল 'জুলাই ঐক্য' সংগঠন। সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি শুরু হয় ঢাকার রামপুরা থেকে। স্লোগান ওঠে, 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা।' মিছিলটি বিকেল চারটার দিকে বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢুকতেই, বাধা দেয় বাংলাদেশের পুলিশ। যদিও মিছিলের কথা আগের থেকে জানার কারণেই, এদিন বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করাই ছিল এলাকায়। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভের পর, কর্মসূচি শেষও হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধদের মতে, এই কর্মসূচি সতর্কবার্তা।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হাসিনা ইস্যুতেই উদ্বেগপ্রকাশ করে দিন কয়েক আগেই ভারতকে বার্তা দেয় পদ্মাপার। তলব করা হয়েছিল,  ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে। সেসবের মাঝেই, বুধিবার যেন পালটা তলব। দিল্লিতে নিযুক্ত  বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করা হয়েছিল এদিন। 

 

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য,  আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।  বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এ কথা ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের ফলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এই প্রথম নির্বাচন হতে চলেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশে।

 

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন জানিয়েছেন,  ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং গণভোট একই বুথে পৃথক ব্যালটে হবে। রাত থেকেই শুরু হবে গণনা।

এর পাশাপাশি, নাসিরউদ্দিন নাগরিকদের ভুয়ো খবর ও গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং এগুলোকে নির্বাচনের আগে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিশ্চিত করেছেন যে, সাধারণ নির্বাচন এবং জুলাই সনদের গণভোটও আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৩০০টি সংসদীয় আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১১ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচার শুরু হবে ২২ জানুয়ারি, প্রচার শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায়।