আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আগে থেকেই আপনাকে নিজের টার্গেট তৈরি করতে হবে। সেখান থেকে আপনি অতি দ্রুত নিজের সমস্ত শখ মেটাতে পারবেন।


বন্ধন স্মল ক্যাপ ফান্ডে যদি আপনি ৫ বছর ধরে বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে সেখানে আপনি সুদের হার পাবেন মোট ৩১.৭০ শতাংশ। এখানে এইউএম রয়েছে ১২ হাজার ৯৮২ টাকা। নেট ভ্যালু রয়েছে ৫১৮৪ টাকা। ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই মিউচুয়াল ফান্ডটি বছরে প্রথম থেকেই ভাল রিটার্ন দেবে।


এখানে রেশিও রয়েছে ০.৩৯ শতাংশ। এখানে আপনি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে নিজের ইচ্ছামতো বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে যদি মাসে ১৩ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখানে ৫ বছরের আপনাপর মোট বিনিয়োগ হবে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে আপনি হাতে পাবেন মোট ১৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।


কোয়ান্ট স্মল ক্যাপ ফান্ডে যদি আপনি ৫ বছর ধরে বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে সেখানে আপনি সুদের হার পাবেন মোট ২৯.৮৩ শতাংশ। এখানে এইউএম রয়েছে ২৯ হাজার ৬২৯ টাকা। নেট ভ্যালু রয়েছে ২৮৫.৪৯ টাকা। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এই মিউচুয়াল ফান্ডটি বছরে প্রথম থেকেই ভাল রিটার্ন দেবে।


এখানে রেশিও রয়েছে ০.৬৬ শতাংশ। এখানে আপনি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে নিজের ইচ্ছামতো বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে যদি মাসে ১৩ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখানে ৫ বছরের আপনাপর মোট বিনিয়োগ হবে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে আপনি হাতে পাবেন মোট ১৬ লাখ ২২ হাজার টাকা।


ইনভেসকো স্মল ক্যাপ ফান্ডে যদি আপনি ৫ বছর ধরে বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে সেখানে আপনি সুদের হার পাবেন মোট ২৯.৩৩ শতাংশ। এখানে এইউএম রয়েছে ৭ হাজার ৪২৫ টাকা। নেট ভ্যালু রয়েছে ৪৭.৩৬ টাকা। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই মিউচুয়াল ফান্ডটি বছরে প্রথম থেকেই ভাল রিটার্ন দেবে।


এখানে রেশিও রয়েছে ০.৪৪ শতাংশ। এখানে আপনি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে নিজের ইচ্ছামতো বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে যদি মাসে ১৩ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখানে ৫ বছরের আপনাপর মোট বিনিয়োগ হবে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে আপনি হাতে পাবেন মোট ১৬ লাখ ৩ হাজার টাকা।


মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি পুল তৈরি করা হয় এবং সেই অর্থ বিভিন্ন সিকিউরিটিজ, যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে।


মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা বিভিন্ন সিকিউরিটিজে (যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি) বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 


মিউচুয়াল ফান্ডগুলি অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বাজারের ওঠানামাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত সহজে কেনা-বেচা করা যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক। 

আরও পডুন:  ফিক্সড ডিপোজিটে ব্যাঙ্ক হার মানবে এখানেই, সুদের হার দেখে চোখ কপালে উঠবেই


মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন - ইক্যুইটি ফান্ড (Equity fund), Debt Fund, এবং হাইব্রিড ফান্ড (Hybrid fund)। এই ফান্ডগুলি মূলত স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। এই ফান্ডগুলি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল রিটার্ন প্রদান করে।এই ফান্ডগুলি ইক্যুইটি এবং ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে, যা ঝুঁকি এবং রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।


তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই আপনি আগে থেকে সমস্ত তথ্য ভাল করে দেখে নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি বিনিয়োগ করতে গিয়ে আপনার কোনও সমস্যা হয় বা যদি আপনি কোনও আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়েন তাহলে তার দায় আজকাল ডিজিটাল নেবে না।