আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাজারে আসতে চলেছে নতুন সোনার কয়েন। তবে এটি কেনার আগে মানতে হবে বেশ কয়েকটি শর্ত। জানা গিয়েছে প্রতিটি সোনার কয়েন যে বিআইএস দ্বারা অনুমোদন করা থাকে। নাহলে সেটিকে বিক্রি করতে পারবেন না গয়নার দোকানের মালিকরা।


এই পদক্ষেপটি নেওয়ার দরকার ছিল না। তবে বাজারে অনেক সময় প্রচুর নকল সোনার কয়েন তৈরির একটি চলন দেখা যাচ্ছে। ফলে সেখান থেকে নতুন এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে গয়নার দোকানের মালিকরা নিজেরা সোনার কয়েন তৈরি করতে পারবেন না। যদি তারা সেটি করতে চান তাহলে তাদেরকেও বিআইএস থেকে অনুমতি নিতে হবে।


এবার থেকে যদি দোকানে গিয়ে আপনি সোনার কয়েন কিনতে যান তাহলে সেখান থেকে আপনাকে যেগুলিকে খেয়াল করতে হবে সেগুলি হল। গয়নার দোকানের মালিকরা নিজেদের ইচ্ছামতো সোনার কয়েন তৈরি করতে পারবেন না। সোনার দাম যে হারে বাড়ছে তাকে নজরে রেখেই এটি করা হয়েছে। দ্রুত এই নিয়মটি সরকার চালু করে দেবে। 


অনেক সময় দেখা যায় ক্রেতারা গয়নার দোকান থেকে সোনার কয়েন কিনে নিয়ে যান। তবে অবাক করা বিষয় হল সেখানে কোনও বিআইএস হলমার্ক থাকে না। ফলে সেই সোনার দাম এবং গুনমান নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্ন উঠে যায়। এবার থেকে যদি এই মার্কটি না থাকে তাহলে সেই সোনার কয়েন ভুল করেও কিনবেন না।


বাজারে নতুন যে বিআইএস হলমার্কের সোনার কয়েন আসবে সেগুলি সঠিক গুনমান এবং সঠিক ওজনের হবে। ফলে সেখান থেকে ঠকার ভয় কমে যাবে। অনেক সময় দেখা যায় সোনার ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানের সোনার কয়েন বিক্রি করে দেন। যদিও সেজন্য তারা অনেক বেশি টাকা নিয়ে থাকেন। এমনকি অনেক জায়গায় সোনার বদলে ইমিটেশন দেওয়ার অভিযোগও দেখা গিয়েছে। 


তবে যদি আপনি বিআইএস যুক্ত সোনার কয়েন কিনে নেয় তাহলে সেখানে আপনি সঠিক মানের সোনা পাবেন। ক্রেতারা যেন না ঠকে যান সেদিকে দেখা হবে। সোনার বাজার এর ফলে আরও উন্নত হবে। সোনা ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে। সোনার বাজার আগামীদিনে আরও উন্নত হবে।


 আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ডের দাম ছিল 3339.22 মার্কিন ডলার প্রতি আউন্স। অর্থাৎ গতকালের স্তরেই ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে বুলিয়নকে। অপরদিকে মার্কিন গোল্ড ফিউচারের মূল্য ছিল 3344.70 ডলার প্রতি আউন্স। এই সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত বুলিয়নের দাম প্রায় 0.5 শতাংশ কমেছে। মার্কিন ডলারের সূচক এদিন অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় 0.3 শতাংশ নীচে রয়েছে।


এদিন রুপোর দামে অবশ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। স্পট সিলভারের দাম 0.1 শতাংশ বেড়ে হয়েছে 38.13 মার্কিন ডলার প্রতি আউন্স। স্পট প্ল্যাটিনামের মূল্য 0.5 শতাংশ ঊর্ধ্বগামী হয়ে পৌঁছয় 1465.20 মার্কিন ডলার প্রতি আউন্স। স্পট প্য়ালাডিয়ামের মূল্য 0.5 শতাংশ বেড়ে হয়েছে 1286 মার্কিন ডলার প্রতি আউন্স।


উল্লেখ্য, সাধারণত সোনার দাম মুদ্রাস্ফীতি, আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠনামা, অনিশ্চয়তা -সহ একাধিক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যখন বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়ে, তখন সোনা কেনার ঝোঁক বৃদ্ধি পায়। ফলে হলুদ ধাতুর মূল্যে ঊর্ধ্বগতিও দেখা যায়।


মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে আগস্টের গোল্ড ফিউচারের দাম 0.07 শতাংশ কমে হয় 97402 টাকা প্রতি দশ গ্রাম। এদিকে সেপ্টেম্বরের সিলভার ফিউচারের মূল্য 0.28 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয় 112650 টাকা প্রতি কিলোগ্রাম।

আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে নতুন বিপদ, কাছে গেলেই সব শেষ


এদিন দেশের খুচরা বাজারে সোনার দাম সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রুপোর মূল্যে পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। 24 ক্যারেটের সোনার দাম প্রতি দশ গ্রামে 50 টাকা বেড়ে হয়েছে 99380 টাকা। এদিন 22 ক্যারেটের হলুদ ধাতুর দর 50 টাকা ঊর্ধ্বগামী হয়ে ছিল 91100 টাকা প্রতি দশ গ্রাম। 18 ক্যারেটের সোনার দাম 40 টাকা বেড়ে হয়েছে 74540 টাকা। রুপোর প্রতি কিলোগ্রামের দাম এদিন 100 টাকা কমে হয়েছে 113900 টাকা।


কলকাতায় পাকা সোনা কিনতে ব্য়য় করতে হয়েছে 99380 টাকা। গয়নার সোনার জন্য খরচ করতে হয়েছে 91100 টাকা। 18 ক্যারেটের সোনার মূল্য ছিল 74540 টাকা। নগর তিলোত্তমায় রুপোর জন্য ব্যয় করতে হয়েছে প্রতি কিলোগ্রামে 113900 টাকা।