আজকাল ওয়েবডেস্ক:  প্রতিটি মানুষের একটি নিজস্ব সঞ্চয়ের দিক আছে। সেখান থেকে অনেকে সোনাতে বিনিয়োগ করেন। আবার কেউ এসআইপি-তে বিনিয়োগ করেন। এখানে একটি সহজ উপায় দেওয়া হল যেখান থেকে আপনি নিজেই দেখতে পারবেন কোনটি আপনার পক্ষে ভাল।
যদি প্রতি মাসে আপনি ৫ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি কোথায় বিনিয়োগ করবেন। আপনার কাছে দুটি অপশন রয়েছে। প্রথমটি হল সোনা এবং দ্বিতীয়টি হল এসআইপি। তবে কোথায় বিনিয়োগ করবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।


এসআইপি বিনিয়োগের মানে হল প্রতি মাসে আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন। সেখানে যদি আপনি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ভাল টাকা ফেরত পেতে পারেন। যদি দ্রুত নিজের টাকা বাড়িয়ে তুলতে চান তাহলে সেখানে একটি ভাল অপশন হল এসআইপি। তবে এখানে বাজার ঝুঁকি থাকে। তারপরও আপনি এখান থেকে ১২ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন।

আরও পড়ুন:  লাবুবুর দিন শেষ, এবার নতুন কী আসতে চলেছে


অন্যদিকে যদি আপনি সোনাতে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি লাভ ছাড়া ক্ষতির মুখ দেখবেন না। প্রতি বছরে ১০ শতাংশ উত্থান সোনাকে সকলের কাছে প্রিয় করেছে। আপনি সোনার বন্ড কিনতে পারেন। গোল্ড ইটিএফ বা ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। 
যদি আপনি মাসে ৫ হাজার টাকা এসআইপি-তে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে ১৫ বছরে আপনার মোট টাকা হবে ৯ লাখ। যদি আপনি ১২ শতাংশ করে সুদ পান তাহলে মোট রিটার্ন হবে ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৭৯ টাকা। মোট ফান্ড হবে ২৫ লাখ ২২ হাজার ৮৭৯ টাকা। 


যদি আপনি মাসে ৫ হাজার টাকা সোনাতে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখানে আপনি ১৫ বছরে মোট বিনিয়োগ করবেন ৯ লাখ টাকা। বছরে ১০ শতাংশ হিসেবে মোট রিটার্ন হবে ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২১ টাকা। মোট ফান্ড হবে ২০ লাখ ৮৯ হাজার ৬২১ টাকা।
তাহলে এখান থেকেই দেখা যাচ্ছে যদি আপনি সোনা ছেড়ে এসআইপি-তে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখানে আপনি ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা বেশি পাবেন। তবে এটি মার্কেটের ওপর নির্ভর করবে। সেখানে সোনা আপনাকে কম টাকা দিলেও সেখানে ঝুঁকি কম থাকবে।


এসআইপি (SIP) হল সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, যা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার একটি পদ্ধতি। এখানে, একজন বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর (যেমন মাসিক) একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেন। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করার একটি সুশৃঙ্খল উপায়, যা দীর্ঘমেয়াদে ভালো রিটার্ন দিতে পারে।


নিয়মিত বিনিয়োগ: এসআইপি-র মাধ্যমে নিয়মিতভাবে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করা যায়, যা একটি বড় অঙ্কের অর্থ একবারে বিনিয়োগ করার চেয়ে সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ।
বাজারের ওঠানামার সুবিধা: এসআইপি বিনিয়োগকারীরা বাজারের ওঠানামার সুবিধা নিতে পারেন। যখন বাজার কম থাকে, তখন বেশি ইউনিট কেনা যায়, এবং যখন বাজার বেশি থাকে, তখন কম ইউনিট কেনা যায়।


দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ তৈরি: নিয়মিত এসআইপি বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে একটি ভালো সম্পদ তৈরি করা যেতে পারে।
সহজ এবং সুবিধাজনক: এসআইপি-তে বিনিয়োগ করা খুবই সহজ এবং সুবিধাজনক। বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা অনলাইনে বা অফলাইনে এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয়।


একটি এসআইপি শুরু করার জন্য, একজন বিনিয়োগকারীকে প্রথমে একটি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম নির্বাচন করতে হবে, এবং তারপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ (যেমন মাসিক ১০০০ টাকা) বিনিয়োগ করার জন্য একটি এসআইপি শুরু করতে হবে। বিনিয়োগের পরিমাণ এবং সময়কাল একজন বিনিয়োগকারীর আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুঁকির প্রবণতার উপর নির্ভর করে।