আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোচবিহার জেলা থেকে কলকাতায় গাঁজা পাচার করার সময় সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি। ধৃত ব্যক্তিদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৪৩ কেজি উন্নত মানের গাঁজা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নাম মনোজ সিং এবং আলিমুল ইসলাম। ধৃত মনোজের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে লাখিমপুরে এবং আলিমুলের বাড়ি কোচবিহারের পুঁটিমারি এলাকায়।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান, ’গোপন সূত্রে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিরা কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা পেয়েছে এবং কোথায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।‘
মঙ্গলবার ধৃত দুই ব্যক্তিকে বহরমপুরে এনডিপিএস আদালতে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে পেশ করা হচ্ছে।
সাগরদিঘি থানার এক আধিকারিক জানান, সোমবার রাতে তারা গোপন সূত্রে খবর পান, কোচবিহারের বাসিন্দা আলিমুল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মনোজ সিংকে নিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা কোচবিহার থেকে কলকাতার একটি গোপন ডেরায় পাচার করার চেষ্টা করছে।।
এই আধিকারিক জানান, প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে একটি বেসরকারি গাড়িকে মোড়গ্রামের কাছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর আটক করা হয়। এরপর গাড়িটিতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট।
উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভাড়া গাড়িতে করে কোচবিহার থেকে নদিয়া জেলার চাকদহে গাঁজা পাচারের সময় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে ১০০ কেজির বেশি গাঁজা-সহ গ্রেপ্তার হন অনিল চন্দ্র দে নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী। পুলিশের ওই আধিকারিক বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি সোমবার রাতে উদ্ধার হওয়া গাঁজা উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও একটি রাজ্য উৎপাদন করা হয়েছিল। এরপর চোরাই পথে তা কোচবিহারে এসে পৌঁছয়।‘
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, কলকাতার বিভিন্ন উচ্চবিত্ত মহলে এবং নামি কিছু ক্লাব-রেস্তোরাঁয় বেআইনিভাবে গাঁজা সরবরাহের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এই দুই ব্যক্তি।
