'বিগ বস ১৯' শেষ হয়েছে সবে সপ্তাহখানেক হয়েছে। বিজয়ীর ট্রফি পেয়েছেন গৌরব খান্না। এবারের 'বিগ বস' হাউজের অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন অভিনেত্রী, চিত্রনির্মাতা মালতী চাহার। তিনি সম্প্রতি এক কষ্টকর অভিজ্ঞতার বিষয়ে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন বলিউডে কেরিয়ার গড়তে এসে কীভাবে তাঁকে কাস্টিং কাউচের শিকার হতে হয়েছিল। 

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মালতী চাহার কাস্টিং কাউচ নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। অভিনেত্রীর কথায়, কাস্টিং কাউচের মতো ঘটনা ঘটে, এবং তিনি নিজেই সেটার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর কথায়, 'হ্যাঁ, কখনও কখনও এমনটা হয়। এক আধবার মানুষ চেষ্টা করে দেখেন।' মালতীর মতে, মানুষ আপনার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবেন সেটা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার চেহারা কেমন তার উপর। অভিনেত্রীর মতে, 'লোকজন ভীষণ স্মার্ট। ওরা আপনার ধরণ এবং শরীরী ভাষা সহজেই বুঝে ফেলে। এক-আধজন বাউন্ডারি ক্রস করার চেষ্টা করেন। একজন তো অসভ্যতা করেছিলেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই আমি যে বাউন্ডারি মেনে চলি সেটা বোঝেন।' 

মালতী জানান, তিনি প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দেন যে এই ধরণের আচরণ তিনি একেবারেই বরদাস্ত করবেন না। প্রথমেই থামিয়ে দেন। তাঁর কথায়, যেহেতু তাঁর বাবা ভারতীয় বায়ুসেনায় ছিলেন, তাই সেই অনুশাসন এবং নিজেকে সংযত রাখার শিক্ষা তাঁর আছে। আর সেটারই ঝলক তাঁর আচরণ, কথা এবং ব্যবহারে প্রকাশ পায়। মালতীর মতে, এই শিক্ষাই তাঁকে একাধিক অনভিপ্রেত ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে। 

কিন্তু তাও একবার একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় মালতীকে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে? সেই স্মৃতি হাতড়ে অভিনেত্রী বলেন, এক জনপ্রিয় এবং বয়স্ক পরিচালক তাঁর সঙ্গে অসভ্যতা করেন। একটি প্রজেক্টের জন্য একাধিকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। সেই ব্যক্তিকে তিনি পিতৃতুল্য নজরে দেখতেন। কিন্তু এই প্রজেক্টের শেষে তিনি যখন সেই ব্যক্তিকে জড়িয়ে ধরেন, সাইড হাগ করেন তখন সেই ব্যক্তি তাঁকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে চুমু খেতে যান। মালতীর কথায়, 'আমি নড়াচড়া করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ধাতস্থ হতে সময় লেগেছিল যে কী ঘটল আমার সঙ্গে। আমি তৎক্ষণাৎ ওঁকে থামিয়ে দিই। এরপর আর কখনও ওঁর সঙ্গে দেখা করিনি।' তিনি এদিন এও জানান, 'আমার কাছে উনি বাবার মতো একজন ছিলেন। ও ঘটনাটা আমায় দারুণ শিক্ষা দিয়েছিল। ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। আশা করিনি ওঁর বয়সের এমন কেউ, এমন কিছু করতে পারেন। সকলের সঙ্গে সতর্ক হয়ে থাকা উচিত।'

প্রসঙ্গত, মালতী চাহারের ভাই হলেন ক্রিকেটার দীপক চাহার।